চেতেশ্বর পূজারা, রবিচন্দ্রন অশ্বিনদের সঙ্গে ফিল্ডিং অনুশীলন করছিলেন। হঠাৎ শরীরের ভারসাম্য ঠিকঠাক রাখতে না পেরে পড়ে যান তিনি। সজোরে বল এসে হাতে লাগে। এর পর আধ ঘণ্টা মাঠে ছিলেন না সচিন তেন্ডুলকর। কিন্তু ফিরে এসে টানা এক ঘণ্টা ব্যাট করে গেলেন। পরে আরও ২৫ মিনিট। কেউ বলে না দিলে বোঝার উপায় নেই একটু আগে চোট পেয়েছেন তিনি।
ভারতীয় দলে এমন এক চোট-আতঙ্ক এসে চলে গেলেও ইংল্যান্ড শিবিরের দুশ্চিন্তা কিন্তু কাটল না আমদাবাদে প্রথম টেস্ট শুরুর চার দিন আগেও। চিন্তা মূলত স্টুয়ার্ট ব্রড ও স্টিভন ফিনকে নিয়েই। নেটে তিনি বোলিং করছেন ঠিকই। তবে ব্রডের চেয়ে তাঁর চোটই বোশি গুরুতর। উইকেটের অবস্থা দেখে কুকদের ধারণা, সাফল্য পেতে গেলে ওয়াংখেড়ের চেয়ে মোতেরায় অনেক বেশি ঘাম ঝরাতে হবে ফিনকে। সেই কারণেই প্রথম টেস্টে হয়তো তাঁকে নামিয়ে অযথা ঝুঁকি নাও নেওয়া হতে পারে। ব্রড অবশ্য দ্রুত উন্নতি করছেন।
চলতি প্রস্তুতি ম্যাচে টিম ব্রেসনান ও গ্রাহাম ওনিয়ন্সরা আধ ডজন উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিলেও যে দল রঞ্জিতে ৫৫ রানে অল আউট হয়েছে, সেই হরিয়ানাকে ৩৩৩ রানে পৌঁছতে দিলেন। আর রাহুল দিওয়ান করে গেলেন ১৪৪। তবে এই ম্যাচে অনভিজ্ঞ ওপেনার নিক কম্পটনের দুই ইনিংসেই রান পাওয়ার মধ্যে অবশ্য আশার আলো দেখছে কুকবাহিনী। প্রথম ইনিংসে ৭৪ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি ৫৪-য় অপরাজিত। রবিবার ম্যাচের শেষ দিনে কোথায় শেষ করেন সেটাই দেখার। দ্বিতীয় ইনিংসে কুক নিজে না নেমে জোনাথন ট্রটকে দিয়ে ওপেন করালেন। মুম্বইয়ে এ দিনই প্রথম পুরো দল একসঙ্গে দেখে নিলেন ভারতীয় দলের কোচ ডানকান ফ্লেচার। হরভজনও ছিলেন। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা প্র্যাক্টিস হল এ দিন। শারীরিক কসরত থেকে শুরু করে ফিল্ডিং ড্রিল, নেট প্র্যাক্টিস। ধোনিও নেটে হাত ঘোরালেন। সচিন-পুত্র অর্জুন এসেছিল ভারতীয়দের প্র্যাক্টিস দেখতে। নেটে যুবরাজ, কোহালির ব্যাটিং দেখে মন দিয়ে। কিন্তু সচিনের চোট লাগতেই বেশ বিচলিত হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত সচিন ব্যাট হাতে নেটে আসায় বাকি সবার মতো অর্জুনও হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। |