পঞ্চনদের দেশে বিপর্যয় যেন পিছু ছাড়ছে না বাংলার।
কোনও দিন ব্যাটিং ধসে পড়ছে। কোনও দিন আবার বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে বাংলা বোলিংকে। শনিবার যেমন। মোহালিতে গোটা দিন প্রবল খাটুনির পর কপালে জুটল মাত্র একটা উইকেট! অশোক দিন্দা উইকেট পেলেন না। ইডেনের সৌরভ সরকারকে খুঁজে পাওয়া গেল না মোহালিতে। ক্যাচ পড়ল। পঞ্জাবের দুই ব্যাটসম্যান জোড়া সেঞ্চুরি করে গেলেন। সবচেয়ে বড় কথা, তিন পয়েন্টের আশা ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেই মোটামুটি ছেড়ে দিতে হল বাংলাকে। ম্যাচ বাঁচিয়ে এক পয়েন্ট পাওয়া যায় কিনা শেষ পর্যন্ত, সেটাই এখন প্রশ্ন।
গত দিনের স্কোরের সঙ্গে ৪৬ রান যোগ করতে না করতেই শনিবার যবনিকা পতন ঘটে বাংলা ব্যাটিংয়ের। ঋদ্ধিমান সাহা মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি ফস্কান। কিন্তু তবু যা স্কোর ছিল, ভাল বোলিং করলে তা দিয়ে লড়াই চালানো যেত। লক্ষ্মীরতন শুক্ল প্রথম ধাক্কাটাও দিয়েছিলেন করণ গোয়েলকে বোল্ড করে। কিন্তু ওখানেই শেষ। বাকি দিন শুধুই দুর্ভোগ জুটল বঙ্গ-বোলিংয়ের। দিন্দা ২০ ওভার বল করে ৬৬ রান দিয়ে উইকেটহীন থাকলেন। সৌরভ সরকারও উইকেট পাননি। জিয়নজিৎ সিংহের (১০২) আবার ক্যাচও পড়ল লক্ষ্মীর বলে। সব মিলিয়ে, বাংলার স্কোর থেকে আর মাত্র ৯৭ রান দূরে দাঁড়িয়ে পঞ্জাব। হাতে ন’টা উইকেট। রবিবার চূড়ান্ত অঘটন না ঘটলে বাংলার পাঁচিল টপকে যাওয়া এবং তিন পয়েন্ট পকেটে ঢোকানো দু’টোই স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
বাংলা অধিনায়ক অবশ্য চূড়ান্ত অঘটনের স্বপ্নই দেখছেন। ম্যাচ শেষে এ দিন পঞ্জাব থেকে ফোনে মনোজ তিওয়ারি বলছেন, “অনেক বড়-বড় টিমকে দেখেছি পঞ্চাশ-একশো রানে শেষ হয়ে যেতে। ক্যাপ্টেন হয়ে কী ভাবে বলি, তিন পয়েন্ট পাব না? এখনও একশো রান বাকি। অনেক কিছুই হতে পারে।” বাংলা অধিনায়ক অবশ্য বোলিংকে নয়, দুষছেন পিচকে। বলছিলেন, “উইকেটটা একদমই সহজ হয়ে গিয়েছে। পেসার, স্পিনার কেউই পিচ থেকে সুবিধা পাচ্ছে না। যা দেখছি, টসটা হেরে খুব মুশকিল হল।” মনোজ আশা ছাড়ছেন না, কিন্তু লক্ষ্মী মোটামুটি ধরেই নিচ্ছেন তিন পয়েন্ট আর আসছে না। বাংলা বোলারদের মধ্যে তাঁকেই সবচেয়ে উজ্জ্বল দেখিয়েছে। তাঁর হিসেব: ১৭-৬-৩৫-১। “রবিবার শুরুতেই যদি তিন-চারটে উইকেট না তোলা যায়, আর কিছু করা যাবে না। সবাই মিলে একটা চূড়ান্ত চেষ্টা করতে হবে,” বলে দিলেন লক্ষ্মী। |
বাংলা: ৩২৬ (ঋদ্ধিমান ৯৮, লক্ষ্মী ৬২, রাহুল শর্মা ৪-৫৩)
পঞ্জাব: ২২৯-১ (জিয়ানজোৎ ১০২ ন:আ:, সিধানা ১০৭ ন:আ:, লক্ষ্মী ১-৩৫, দিন্দা ০-৬৬, সৌরভ ০-৩২)। |