|
|
|
|
|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
৪ - ১০ নভেম্বর |
|
আথেন্স দামাস্কাস বুয়েনস আইরেস ওয়াশিংটন ডি সি বার্মিংহাম |
|
সরকারি বাজেটের ঘাটতি আরও না কমালে আই এম এফ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাহায্যের পরের কিস্তি পাওয়া যাবে না এই খাঁড়া মাথায় নিয়ে গ্রিসের আইনসভা বৃহস্পতিবার রাজস্ব বৃদ্ধি এবং ব্যয়সংকোচের নতুন প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাশিত ভাবে, পার্লামেন্টের সামনে প্রতিবাদী বিক্ষোভ ফেটে পড়েছে। পেট্রোল বোমার জবাবে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস। জাতীয় আয় কমেই চলেছে, অর্ধেকের বেশি তরুণতরুণী বেকার, ইউরোপীয় সভ্যতার জন্মদাতা দেশটি সর্বনাশের কিনারায় দাঁড়িয়ে।
• বুয়েনস আইরেসের রাস্তায় মানুষের ঢল নামল। প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্ডেজ-এর আর্থিক নীতির বিরুদ্ধে। দেশে মূল্যস্ফীতির হার ১২ শতাংশের ওপরে, বেকারত্বের হারও চড়া। গত বছরই বিপুল ভোটে জিতেছিলেন ক্রিস্টিনা। আর এখন, প্রবল ক্ষোভের মুখে।
• ওবামার পর ওবামা। হিলারির পর কে? শুধু ওয়াশিংটন নয়, গোটা পৃথিবীতে এই ফিসফাস। দুটো সম্ভাব্য নাম: জন কেরি ও সুজান রাইস। কোনওটাই অবশ্য নয়াদিল্লির কাছে আনন্দজনক নয়। তবে ক্লিন্টনদের মতো ভারতবন্ধু ক’টিই বা পাওয়া যাবে ক্যাপিটল হিলে?
• ১৫ বছরের পাকিস্তানি মেয়ে মালালা ইউসুফজাইকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হোক, প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন প্রায় দশ লক্ষ ব্রিটিশ নাগরিক। বার্মিংহামে আপাতত নিরাময়ের পথে মালালা। |
• সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ অব্যাহত। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ-এর বিরোধীরা এখন চেষ্টা করছেন একটা ঐক্যবদ্ধ ‘নির্বাসিত সকার’ গঠনের, যাতে আসাদের উপর কূটনৈতিক চাপ বাড়ানো যায়। কিন্তু আসাদ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি সিরিয়ার মানুষ। আমি যা হয়েছি, সিরিয়াতেই হয়েছি। আমাকে সিরিয়াতেই বাঁচতে হবে, সিরিয়াতেই মরতে হবে।’ অর্থাৎ, ধ্বংসের অনন্ত মিছিল চলছে, চলবে। |
|
তেল আভিভ |
বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুর (ছবি) মন ভাল নেই। কী করেই বা থাকবে? ওবামা জিতবেন, আর ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু প্রসন্ন থাকবেন, এ তো হতে পারে না! ওপর ওপর কোনও সমস্যা না থাকলেও দুই জনের অন্তঃসলিলা রসায়ন ভয়ানক মন্দ, নেতানিয়াহুর আগ্রাসী নীতিতে ওবামা বেদম ক্ষুব্ধ, এবং নেতানিয়াহুও মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘বাড়াবাড়ি’-তে তিতিবিরক্ত। কিছু দিন আগে প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরে গেলে ওবামা তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি পর্যন্ত! তারই মধ্যে রসায়ন আরও খারাপ হওয়ার জোগাড়, কেননা, নেতানিয়াহু বলেছেন তিনি ইরান আক্রমণ করতে প্রস্তুত! গত টার্মে ওবামা এক বারও ইজরায়েল যাননি, খুবই চোখে পড়ার মতো ঘটনা। এই টার্মে কী হবে? দুই দেশের রাষ্ট্রদূতরা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন, যাতে একটা সফর করানো ওবামাকে দিয়ে সম্ভব হয়। দুই দেশের সম্পর্কে এতটা শৈত্য ইতিহাসে বড় একটা দেখা যায়নি।
|
লস অ্যাঞ্জেলেস |
মার্ক বাসেলি ইউসুফ। কিংবা নাকুলা বাসেলি নাকুলা। (ছবি) নামগুলো চেনা-চেনা? ক’দিন আগেই এঁর তৈরি ফিল্ম ‘ইনোসেন্স অব মুসলিমস’ নিয়ে পশ্চিম ও দক্ষিণ এশিয়ার ইসলামি দুনিয়ায় দাউদাউ করে জ্বলছিল আগুন। প্রবল ইসলামবিরোধী কুরুচিসম্পন্ন ফিল্ম তৈরির খেসারত ক্যালিফোর্নিয়া-বাসী এই মহোদয়কে মার্কিন জেলে পাঠানো হল, তবে নেহাতই এক বছরের জন্য। এত কম সময়? মুশকিল হল, আসল অভিযোগের পক্ষে প্রমাণই মিলছে না, আপাতত তাঁকে ছোটখাটো অন্যান্য অভিযোগের শাস্তি দেওয়া হল, যেমন নাম ভাঁড়ানো!
|
লন্ডন, আমান |
যে যার মতো করে চেষ্টায় ত্রুটি রাখছেন না। সত্যিই, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে নিয়ে পশ্চিমি দুনিয়ার নেতারা পড়েছেন মহা ফ্যাসাদে। সিরিয়া ও জর্ডনের সীমান্ত বরাবর এখন কেবল উদ্বাস্তু ক্যাম্প, সারি সারি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন (ছবি) আপাতত সেখানে গিয়েছেন পরিস্থিতির সরেজমিন তদন্তে। পরিস্থিতি ভয়াবহ বললেও কম বলা হয়, জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, যে ভাবে হোক, সিরিয়ার সংকটের মীমাংসা করতে তিনি বদ্ধপরিকর। বিদ্রোহীদের নানা দলের সঙ্গে কথা বলে একটি ঐক্যবদ্ধ বিরোধিতা তৈরি করা ও তার ভিত্তিতে মীমাংসার সূত্র খোঁজা তাঁর লক্ষ্য। ঘুরে ঘুরে বিদ্রোহী দলগুলির সঙ্গে দেখা করছেন। সাফল্যের সম্ভাবনা কম হলেও, প্রয়াসটিকে স্বাগত বলতেই হয়।
|
লন্ডন |
ওবামা বিষয়ে ভবীও ভুলতে পারে, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ভোলেন না। উইকিলিক্স-খ্যাত এই মানুষটি আপাতত আমেরিকার গ্রেফতারের ভয়ে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রিত। প্রেসিডেন্ট ওবামা জেতার পর তাঁর বক্তব্য: এই লোকটা আসলে ভেড়ার পোশাক-পরা নেকড়ে বাঘ। কেউ যেন না ভোলে, কী অন্যায় করেছেন তিনি অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে: “হি সিমস্ টু বি আ নাইস ম্যান অ্যান্ড দ্যাট’স প্রিসাইজলি দ্য প্রবলেম!”
|
শেষ পাত |
বেচারি জর্জ অসবোর্ন। স্বদেশের মানুষ তাঁকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু তাতে বেচারিত্বের কী হল? হবে না? অসবোর্ন হলেন ব্রিটেনের অথর্মন্ত্রী। কোষাগার সামলাতে তিনি সরকারি খরচ কমিয়েছেন, ফলে দেশের মানুষের সমস্যা বেড়েছে, সেই কৃচ্ছ্রসাধনের তাড়নায় ব্যতিব্যস্ত নাগরিকরা ক্রমাগত দুঃস্বপ্ন দেখছেন, আর, স্বাভাবিক ভাবেই, সেই দুঃস্বপ্নে আনাগোনা করছেন অর্থমন্ত্রী। দুঃস্বপ্নের নায়ক হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে আছে ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন। সেটাও অস্বাভাবিক নয় কৃচ্ছ্রসাধনের নীতি তাঁর আমলেই শুরু হয়েছিল, আর তারও আগে তিনিই ছিলেন অর্থমন্ত্রীর আসনে। |
|
|
|
|
|