|
|
|
|
কেজরিওয়ালের নালিশ নিয়ে হতে পারে তদন্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বিদেশি ব্যাঙ্কে শিল্পপতিদের কালো টাকা নিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব না দিলেও, হাওয়ালার মাধ্যমে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখছে মনমোহন সরকার। কেজরিওয়াল গত কাল অভিযোগ তুলেছিলেন, বিদেশি ব্যাঙ্ককে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা আনার সুযোগ দেওয়ার ফলে সন্ত্রাসবাদীদেরও সুবিধা হচ্ছে। সরকারি সূত্রের খবর, এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।
কয়েক দিন আগেই রোমে ইন্টারপোলের সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে জানিয়েছিলেন, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি ভারতের শেয়ার বাজারে টাকা খাটাচ্ছে। আজ দিল্লিতে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মহল থেকেই ভারতের কাছে এই তথ্য এসেছে যে দেশের, এমনকী বিদেশের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনও বিভিন্ন উপায়ে এ দেশের শেয়ার বাজারে লগ্নি করছে। তার পরে সেই অর্থ ফের সন্ত্রাসে মদত দিতেই কাজে লাগানো হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট এসেছে যে পাকিস্তান এবং কিছু উপসাগরীয় দেশ থেকে ভারতের জঙ্গি সংগঠনের কাছে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিরাও জেরার মুখে জানিয়েছে, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে অর্থ হাতবদল করা হয়েছে। এর পরেই সেপ্টেম্বরে শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি ৩৫টি দালাল সংস্থার ব্যবসায়িক লেনদেনের তদন্ত হয়েছে বলে জানায়। তদন্তে শেয়ার বাজারের সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু সংস্থা ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। ২০০৯ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে অন্তত দশটি ক্ষেত্রে শেয়ার বাজারের মাধ্যমে সন্ত্রাসে অর্থ দেওয়া হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রকের সন্দেহ। মন্ত্রকের ‘ফিনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট’ এ বিষয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দিয়েছে।
গোটা বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের প্রয়োজন বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে তার সঙ্গে কেজরিওয়ালের অভিযোগের কোনও সম্পর্ক রয়েছে, মন্ত্রক এ কথা মানতে নারাজ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিন্দে বলেন, “ভুঁইফোড় কোম্পানি তৈরি করে, ভুয়ো ব্যবসা দেখিয়ে জঙ্গিরা যে শেয়ার বাজারে টাকা খাটাচ্ছে, সে বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা রিপোর্ট আমাদের কাছে আগে থেকেই ছিল।” |
|
|
|
|
|