নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে পাহাড়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)। গত সোমবার স্বনির্ভর গোষ্ঠী বিষয়ক রাজ্য বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি সদস্যরা দার্জিলিঙে আসেন। গোর্খা রঙ্গমঞ্চে জিটিএ চেয়ারম্যান প্রদীপ প্রধানের সঙ্গে কমিটির সদস্যরা দীর্ঘ বৈঠক হয়। সেখানে ঠিক হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব পাহাড়ের তিনটি মহকুমায় স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়া হবে। ব্যাঙ্ক ঋণের বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্রুত সরকারি সাহায্য যাতে পাওয়া যায়, সেই বিষয়টি স্ট্যান্ডিং কমিটিকে দেখার অনুরোধ করেছেন জিটিএ চেয়ারম্যান। বুধবার প্রদীপ প্রধান বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্পটি চললেও পাহাড়ে খুব একটা ভাল কাজ হয়নি। চারটি পুরসভা এলাকায় কয়েকশো ওই ধরনের গোষ্ঠী আছে। এবার আমাদের লক্ষ্য সংখ্যা অনন্ত হাজারের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া। রাজ্য সরকার সাহায্য করতে দ্রুত এই কাজে জিটিএ হাত দেবে।” প্রদীপবাবু বলেন, “আমরা কোনও কাজ ফেলে রাখতে চাইছি না। মাত্র তিনদিন আগেই বৈঠক হয়েছে। যত দ্রুত সরকার সাহায্য করবে তত তাড়াতাড়ি কাজ করা যাবে। কী কী ধরনের গোষ্ঠী তৈরি করা যায় তা দেখা হচ্ছে। এক অফিসারকে এর জন্যই নিয়োগ করা হতে পারে।” বর্তমানে দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং এবং মিরিক পুরসভা মিলিয়ে ৪০০ মত স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। মূল বিউটিশিয়ান, টেলারিং, স্কুলের মিডডে মিল এবং কৃষিকে ভিত্তি করেই দলগুলি গড়া হয়েছে। প্রতিটি দলে ১০-১৫ জন রয়েছেন। জিটিএ-র কয়েকজন আধিকারিক জানান, সরকার বা জিটিএ-র পক্ষে বেকার যুবক যুবতীদের সকলের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। সেখানে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে এই প্রকল্পই পাহাড়ে কর্মসংস্থানের মত বড় সমস্যা অনেকটাই মেটাতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে সরকারি সাহায্য বা অনুদান ২০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর কথাও বলেছেন। তাতে বাড়তি সুবিধা মিলবে। জিটিএ সূত্রের খবর, পাহাড়ের গ্রামীণ এলাকাগুলির কথা মাথায় রেখে সমবায়ের ভিত্তিতে হস্তশিল্প, জ্যাম-আচার, ছোট দোকান, কৃষি, ডেয়ারি, চা পাতা প্যাকেজিং-র দল গঠনের চিন্তভাবনা হচ্ছে। পাশাপাশি, একটু শহুরে এলাকায় উদ্যান পালন, নার্সারি, পর্যটনের কথা ভাবা হচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের দায়িত্ব গোষ্ঠীদের হাতে দেওয়া হতে পারে। |