এ বার ধর্মঘটে নামছে অফিস এবং স্কুলবাসের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল কন্ট্র্যাক্ট ক্যারেজ ওনার্স অ্যান্ড অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’। সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, ২২ নভেম্বর থেকে তাদের ধর্মঘটে কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় স্কুল, অফিস এবং আইটি সেক্টরের প্রায় সাড়ে তিন হাজার বাস চলবে না। সমস্যায় পড়তে হবে নিত্যযাত্রীদের। সংগঠনের নেতা হিমাদ্রি গঙ্গোপাধ্যায় বুধবার বলেন, “একটি আঞ্চলিক পরিবহণের অফিস থেকে আগে তিনটি জেলার পারমিট দেওয়া হত। অগস্ট থেকে সেই নিয়ম তুলে নেওয়ায় আমরা অসুবিধায় পড়েছি। ফের ওই রীতি চালু করার দাবিতে ১২ সেপ্টেম্বর আমরা এক দিনের প্রতীকী ধর্মঘট করেছিলাম। সে সময়ে পরিবহণমন্ত্রী আশ্বাস দেন, শীঘ্রই ফের এই পারমিট ব্যবস্থা চালু হবে। কিন্তু এখনও না হওয়ায় আমরা লাগাতার ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম।” |
লাগাতার ধর্মঘটের প্রসঙ্গে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, ‘‘ধর্মঘট ডেকে তো কিছু হবে না। কথা বলে বিষয়টির সমাধান করতে হবে।” হিমাদ্রিবাবুর অবশ্য দাবি, একাধিক বার পরিবহণ সচিবের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তাঁরা ধর্মঘট ডেকেছেন। এ দিনই ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অফ লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন’-এর প্রতিনিধিরা। বৈঠকের পরে সংগঠনের নেতা সুব্রত ঘোষ বলেন, “পরিবহণমন্ত্রী ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই এখনই আন্দোলনে যাচ্ছি না। কালীপুজো অবধি অপেক্ষা করব।” পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে এ দিন দেখা করেন দক্ষিণ কলকাতা ও শহরতলির অটো ইউনিয়নের নেতারাও। তাঁদেরও মন্ত্রী নভেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন রুটের ভাড়ার তালিকা করে জমা দিতে বলেন। এর আগে মন্ত্রী ওই নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কলকাতা ও শহরতলির ইউনিয়নের নেতাদেরও। |