বাম জমানায় কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে বিতর্কের জেরে দলের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চাইলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য গোবিন্দ রায়। দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তাঁর আর্জি, অভিযোগের নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত তাঁকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
গোবিন্দবাবু এখন ফব-র জলপাইগুড়ির জেলা সম্পাদকও বটে। দলের আদিবাসী সংগঠনেরও সঙ্গে তিনি জড়িত। গোবিন্দবাবুর স্ত্রী যুক্ত আছেন, এমন একটি সংস্থাকে সমবায় ব্যাঙ্ক ঋণ দিয়েছিল। ওই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন গোবিন্দবাবুই। ওই সংস্থাটি ভুয়ো মাস্টার রোল দেখিয়েছিল এবং আদৌ আলু কেনেনি বলে অভিযোগ। নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও গোবিন্দবাবু কলকাতা হাইকোর্টে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেছেন।
ফব-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী আজ, বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে। সেখানে গোবিন্দবাবুর আর্জি বিবেচনা করে সম্মেলন পর্যন্ত কাউকে জেলার ভার সামলাতে বলার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। ঘনিষ্ঠ মহলে গোবিন্দবাবুর বক্তব্য, “অভিযোগ যখন উঠেছে, তখন ফয়সালা না-হওয়া পর্যন্ত দলের পদে থাকতে চাই না। আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সংগঠনের কাজেও সময় দিতে অসুবিধা হচ্ছে।” জলপাইগুড়ি-বিতর্ক এখন তাড়া করছে সিপিএম-কেও। রাজ্য নেতৃত্বের একটি বড় অংশ জেলার এক সংখ্যালঘু নেতাকে রাজ্য কমিটিতে আনতে চান। আবার জেলা নেতৃত্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের মত অন্য এক নেতার পক্ষে। মালদহ থেকেও কাকে রাজ্য কমিটিতে নেওয়া যায়, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্য কমিটির ৭টি শূন্য আসনের কোনওটিই পূরণ করার দিকে হাঁটেনি আলিমুদ্দিন। এ বারের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী ১৭-১৮ ডিসেম্বর ফের রাজ্য কমিটি বসবে। |