সিপিএম কর্মী জলধর বাগদি খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক সিপিএম কর্মীকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম খোকন বাগদি। ওই যুবকের বাড়ি বালসি গ্রামের আমগোড়ে পাড়ায়। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে ধরে। বুধবার ধৃতকে বিষ্ণুপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাকে ৫ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল গাজনের রাতে বালসির বাসিন্দা সিপিএম কর্মী জলধর বাগদিকে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়-সহ ৮৭ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করে সিপিএম। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছিল, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই জলধরকে খুন করা হয়। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “ওই খুনের ঘটনায় খোকন বাগদি নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শেষ হয়নি।” পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকার এক বধূর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে জলধর বাগদিকে খুন করা হয়। তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে। সিপিএমের পাত্রসায়র জোনাল কমিটির সম্পাদক লালমোহন গোস্বামী অবশ্য দাবি করেন, “বিধানসভা ভোটের পর থেকেই আমাদের সমর্থক খোকন বাগদি গ্রামছাড়া ছিলেন। সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরতেই স্থানীয় কিছু তৃণমূল কর্মী তাঁকে জোর করে ওই খুনের ঘটনায় জবানবন্দি দেওয়ানোর চেষ্টা করে। ওই এলাকার মানুষ প্রতিরোধ করায় তৃণমূল পুলিশকে দিয়ে ওকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করিয়েছে।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বলেন, “পুলিশের তদন্তে আমাদের দাবিই প্রমাণিত হয়েছে। তাই পুলিশ ওকে গ্রেফতার করেছে।” তাঁর দাবি, “রাজনৈতিক কারণেই ওই খুনের সঙ্গে আমাদের নাম জড়িয়েছে সিপিএম।” |