রাজনীতিতে সবই স্বাভাবিক। না হল না, বরং বলা ভাল রাজনীতির লড়াইয়ে নীতির ঠাঁই নেই।
শহরের ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে গিয়ে সিপিএম-তৃণমূলের বাধায় পিছু হটল কংগ্রেস পরিচালিত কান্দি পুরসভা। মঙ্গলবার পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রধান ডাকঘর সংলগ্ন রাস্তা দখল করে থাকা কয়েকটি চায়ের দোকান উচ্ছেদ করতে যান পুরকর্মীরা। ২০০ মিটারের রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ওই দোকানিদের আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল পুরসভা। তাঁদের সেখান থেকে দোকান উঠিয়ে নেওয়ার জন্য কয়েক দিন আগে থেকেই সতর্ক করছিল পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কথায় কাজ হয়নি। পুরসভার কর্মীরা তাই সোমবার সেগুলি ভাঙতে আসে। কিন্তু পুর কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন কয়েকশো সিপিএম-তৃণমূল কর্মী রীতিমতো হাতে হাত ধরে বিরোধিতায় নেমেছেন। তাদের বাধায় শেষ পর্যন্ত ভেস্তেই গেল পুরসভার হকার উচ্ছেদ প্রক্রিয়া।
পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের হরেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “আমরা রাস্তা দখলমুক্ত করার বিরোধী নই। কিন্তু শহরের বাসস্ট্যান্ড চত্বরের ফুটপাথ সবচেয়ে বেশি হকারদের দখলে। উচ্ছেদ অভিযান সেখান থেকেই শুরু হওয়া প্রয়োজন। হঠাৎ মাঝখান থেকে দোকান ভাঙা শুরু হলে তার বিরোধিতা করব না!” ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিপিএমের বলাই চট্টোপাধ্যায় বলছেন, “আমরাও চাই শহরের ফুটপাথ দখলমুক্ত হোক। কিন্তু বিকল্প পুর্নবাসনের ব্যবস্থা তো করতেই হবে। না হলে অতগুলো লোক না খেয়ে মরবে না?” ‘জনদরদি’ দুই বিরোধী দলের চাপে তাই শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয় পুরসভা।
কান্দি পুরসভার চেয়ারম্যান কংগ্রেসের গৌতম রায় শহরে নেই। পুরসভার পূর্ত বিভাগের স্থায়ী সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের গুরুপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ফুটপাথ হকার মুক্ত করে পুরসভা চাইছে পথচারীদের সুবিধা করে দিতে। কিন্তু শহরের সবাই তো উন্নয়ন চায় না। যেমন সিপিএম যেমন তৃণমূল।” তিনি জানান, বোর্ড মিটিংয়ে বিরোধীরা পুরসভার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল। কংগ্রেসের দাবি, নিজেদের হারানো জমির খোঁজে এখন বিরোধীতা করছে ওই দুই দল।
কংগ্রেসের জবাব, “এই দ্বিচারিতাই বিরোধীদের মানুষের থেকে দূরে সরিয়ে দেবে।” কিন্তু দখল করে থাকা ফুটপাথের কী হবে? পুরসভা এ ব্যপারে আশ্বাস দিচ্ছে, ফের হবে। যা শুনে বিরোধীরা পাল্টা হুমকি দিয়ে রাখছে, করুক দেখি!’ কান্দির মানুষ কী বলছেন, সেটাই দেখার? |