টুকরো খবর
সাহায্য সহপাঠীদের
দিব্যি খেলেধূলে বেড়াচ্ছিল বছর সতেরোর কিশোর। দেহে কখন যে মারণরোগ বাসা বেধেছে, জানতে পারেনি কেউ। যখন জানা গেল, তখন মাথায় হাত বাড়ির লোকেদের। দিনমজুর পরিবারে ‘দিন আনি দিন খাই’ অবস্থা। চিকিৎসার খরচ জোগাবে কে? এমন অবস্থায় এগিয়ে এল সহপাঠীরাই। হাতখরচের টাকা তুলে দিল দুঃস্থ পরিবারের হাতে। সেই টাকাতেই রামনগর রাও হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র নবীন গিরির লিউকোমিয়ার চিকিৎসা চলছে কলকাতার এসএসকেএম-এ। স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সাগ্নিক প্রধান বলেন, “নবীনদার এই অবস্থা শুনে আমরা আর হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারিনি। সাধ্যমতো সাহায্য করেছি।” স্কুলের প্রধানশিক্ষক দীপক পট্টনায়ক জানান, রামনগরের বাগপুরা গ্রামের বাসিন্দা নবীনের চিকিৎসার জন্য ৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। পড়ুয়ারা ২৯ হাজার টাকা তুলেছে। ওই টাকা দেওয়া হয়েছে নবীনের বাবা পূর্ণচন্দ্র গিরিকে। নবীনকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে দিঘা দেবেন্দ্রলাল জগবন্ধু শিক্ষাসদনের ছাত্রছাত্রীরাও। ৫৬০০ টাকা সংগ্রহ করেছে তারা। ওই স্কুলের ছাত্রী স্নেহা সামন্ত বলেন, “নন্দগোপাল পাত্র নামে আমাদের স্কুলের এক শিক্ষকের বাড়ি রামনগরে। তিনিই বিষয়টি জানান। এরপর সকলে মিলে টাকা তুলি।”

শিশুচোর সন্দেহে মহিলাকে গণপিটুনি
শিশুচোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে আটকে বেধড়ক মারধর করল উত্তেজিত জনতা। বুধবার সকালে মেচেদার শান্তিপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে কোলাঘাট থানার পুলিশ এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে ও কোলাঘাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। তমলুকের এসডিপিও পারিজাত বিশ্বাস বলেন, “ওই মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলা মেচেদা বাজার সংলগ্ন শান্তিপুরে সড়কের ধারে ঘুরছিলেন। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় সিংহের বছর দুয়েকের ছেলে খেলাধূলা করছিল। এলাকাবাসীর দাবি, ওই মহিলা কোলে করে শিশুকে নিয়ে চলে যাচ্ছিল। তখনই মারধর করা হয়। যদিও অন্য এক সূত্রে জানা গিয়েছে, নিছক সন্দেহবশতই মারধর করা হয়েছে ওই মহিলাকে। সম্প্রতি এলাকায় দু-একটা শিশুচুরির ঘটনা ঘটেছে। তারই জেরে কোনও কারণ ছাড়া ওই মহিলাকে শিশুচোর ভেবে বসে একদল গ্রামবাসী।

পর্যালোচনা বৈঠক নন্দীগ্রামে
জেলার পঞ্চায়েতের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের পর্যালোচনা বৈঠক হল নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায়। বুধবার নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের কমিউনিটি হলে জেলার ২৫টি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বিডিও এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষদের নিয়ে এই বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য গ্রামোন্নয়ন দফতরের উপদেষ্টা তথা সাংসদ শিশির অধিকারী, জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকী, জেলা সভাধিপতি গান্ধী হাজরা প্রমুখ। এ দিন জেলা স্তরের ওই বৈঠকে গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পগুলির কাজের পর্যালোচনা করে জানান হয়, বরাদ্দ অর্থ আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে খরচ করতে হবে। যে সব গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি ওই সময়ের মধ্যে অর্থ খরচ করতে পারবে না, জেলা প্রশাসনের তরফে তাদের শো-কজ করা হবে। এ বার থেকে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বিভিন্ন ধরনের বাহারি গাছ স্কুল, কলেজ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও বাজার এলাকায় লাগানো যাবে বলেও এ দিনের বৈঠকে জানান হয়।

জনসংযোগে পুলিশ
জনসংযোগের উদ্দেশে বুধবার গোপীবল্লভপুর থানায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করল ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলা। ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার (সদর) সুমিত কুমার, এসডিপিও (ঝাড়গ্রাম) সন্তোষকুমার মণ্ডল, ডিএসপি (সদর) রানা মুখোপাধ্যায়, ডিএসপি (ডিএনটি) বিবেককুমার বর্মা-সহ ৪০ জন পুলিশ ও সিআরপিএফ কর্মী রক্তদান করেন। এছাড়া আরও দু’শো জন এলাকাবাসী রক্তদান করেন। উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। তিনি জানান, “পুলিশকে রক্তদান করতে দেখে এ দিন এলাকাবাসীরাও স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে এগিয়ে আসেন। এমনকী লোধাশবর সম্প্রদায়ের কয়েকজন, যাঁরা ইতিপূর্বে কোনও দিন রক্তদান করেননি, তাঁরাও রক্ত দিয়েছেন। সংগৃহীত রক্ত মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে।

দেওয়ালে চাপা, মৃত্যু
পরিত্যক্ত বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক বালকের। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ার জয়নগরে। মৃতের নাম বাপন খান (৭)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাইস্কুলের পিছনে জীর্ণ একটি মাটির বাড়িতে সঙ্গীদের নিয়ে খেলাধূলা করছিল বাপন। হঠাৎই ওই বাড়ির দেওয়াল ধসে যায়। ভেঙে পড়ে ওপরের টালির ছাউনিও। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাপনের। আহত হয়েছে তার এক সঙ্গী। জখম ওই বালককে প্রথমে দুর্গাচক হাসপাতাল ও পরে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। দেওয়াল ধসে যাওয়ার পিছনে অন্য কারণ রয়েছে কি না জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পেট্রোকেমে প্রতিনিধি
হলদিয়ায় স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতিনিধিদল। নিজস্ব চিত্র
হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল পরিদর্শন করলেন বিধানসভার ‘স্টাডি ভিজিট স্ট্যান্ডিং কমিটি’র প্রতিনিধিরা। ১০ সদস্যের এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। এছাড়াও ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা, বিধায়ক স্বপন চৌধুরী, অজয় দে প্রমুখ। পেট্রোকেমিক্যালের অবস্থা খতিয়ে দেখা ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতেই হলদিয়ায় এসেছেন বলে জানান প্রতিনিধিরা। আজ, বৃহস্পতিবার মৎস্যজীবীদের সমস্যা জানতে দিঘায় যাবে ওই প্রতিনিধিদল।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.