|
|
|
|
কাজহারাদের ধর্নামঞ্চে কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
এ বার আসরে নামল কংগ্রেস।
এবিজি-বিতাড়নের ঘটনায় তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর উপর ক্ষুব্ধ কাজহারা শ্রমিকেরা। সিপিএম সে ভাবে বিষয়টিতে জড়ায়নি। এই পরিস্থিতিতে বুধবার আইএনটিইউসি’র দিল্লির প্রতিনিধিরা সুতাহাটার অবস্থান মঞ্চে এসে দেখা করলেন কাজহারা শ্রমিকদের সঙ্গে। জানালেন, শ্রমিক স্বার্থ সুরক্ষিত করাই তাঁদের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রীকে সব জানাবেন বলেও তাঁরা আশ্বাস দেন।
এত দিন কাউকে পাশে পাননি শ্রমিকেরা। শুভেন্দু এবং আইএনটিটিইউসি নেতারা মুখে বলেছেন, ছাঁটাই ও কাজহারা সব শ্রমিকের দায়িত্ব তাঁরা নেবেন। কিন্তু সুতাহাটার নন্দরামপুরে অবস্থান-মঞ্চের ধারেকাছে কেউ আসেননি। এমনকী শুভেন্দু বলেছেন, “বন্দর চিরঞ্জীবপুরে, সুতাহাটায় নয়।” এ সবে ভবিষ্যৎ নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তায় থাকা কাজহারা শ্রমিকেরা এ দিন আইএনটিইউসি’র প্রতিনিধিদের পাশে পেয়ে কিছুটা আশ্বস্ত। কাজহারা শ্রমিকদের নেতৃত্বে থাকা শেখ সিরাজ, নূর আলমেরা বলেন, “এতদিন তো কেউ দেখল না। এখন যারা পাশে দাঁড়াল তাঁদের নিয়েই আন্দোলন জোরদার করব। সিপিএম, বিজেপিকেও পাশে চাইছি। তবে তৃণমূল এর পরে এলে যাব না। ” এই পরিস্থিতিতে হলদিয়ায় শিল্প-বাণিজ্য মেলার সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না কাজ খোয়ানো শ্রমিকেরা। বাবলু সাহু, চন্দন মাইতিদের প্রশ্ন, “শ্রমিকদের পেটে লাথি মেরে শিল্প মেলা করে লাভ কী?”
অন্য সুর শোনা গিয়েছে শুভেন্দুর গলাতেও। এতদিন তিনি বলেছে, ছাঁটাই ও কাজহারা মিলিয়ে ৬৩০ জন শ্রমিকের পেটের ভাত জোগাড়ের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু বুধবার সুতাহাটার ব্লকের চৈতন্যপুরে ও হলদিয়া টাউনশিপের সিটি সেন্টারের সভায় তৃণমূল সাংসদ বলেন, “২৭৫ জন ভাইকে ছাঁটাই করার পর প্রতিবাদ করেছি। হয়তো সবাইকে চাকরি দিতে পারব না। কিছু বেকার থাকবে। তবে আমরা শ্রমিকদের মধ্যে বিভেদ করি না।” বুঝিয়ে দিয়েছেন আসলে বিভেদটাই করছেন। শুভেন্দুর কথায়, “নন্দরামপুরে সিপিএমের কিছু লোককে বসিয়ে কীর্তন হচ্ছে। আর কিছু সংবাদমাধ্যম অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই কুৎসার বিরোধিতা করতে হবে।” বন্দরের পরিস্থিতির জন্য শুভেন্দু দুষেছেন লক্ষ্মণ শেঠকে। দু’টি সভাতেই এফডিআই ও বন্দর প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। |
|
|
|
|
|