পঞ্জাবের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে অন্য এক বিভ্রাটের মুখে বাংলা। বিপক্ষ টিম নয়, মনোজ তিওয়ারিদের ভোগাল তাঁদের নিজেদের টিম ম্যানেজার।
বাংলার নিয়মিত ম্যানেজার সমীর দাশগুপ্ত ব্যক্তিগত কারণে এ বার টিমের সঙ্গে যেতে পারেননি। দায়িত্বে আছেন দেবব্রত দাস। যাঁর জন্য আর একটু হলে ফ্লাইট মিস হতে পারত মনোজদের। বুধবার ভোরের ফ্লাইট ধরতে বিমানবন্দর পৌঁছে ক্রিকেটাররা দেখেন, ম্যানেজার অনুপস্থিত। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তাঁকে ফোন করা হলে ফোন ধরেননি দেবব্রতবাবু। টিমের সবার টিকিটও তাঁর কাছেই ছিল। কিছু সিনিয়র রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ফোন করেন সিএবি-র যুগ্ম-সচিব সুজন মুখোপাধ্যায়কে। শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটারদের পঞ্চাশ মিনিট দাঁড় করিয়ে রেখে উপস্থিত হন ম্যানেজার। রাতে পঞ্জাবে দেবব্রতবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “মাত্র পনেরো-কুড়ি মিনিট দেরি হয়েছিল। ফ্লাইট তো মিস করিনি। এখানে ঠিক সময় পৌঁছে প্র্যাক্টিসও করেছে টিম।” ম্যানেজার যা-ই বলুন, বুধবারের ঘটনায় অসন্তুষ্ট সিএবি। কেউ কেউ বলছেন, ম্যানেজারের তো দশ মিনিট আগেই বিমানমন্দরে পৌঁছে যাওয়া উচিত। পঞ্চাশ মিনিট পরে নয়।
মোহালি পৌঁছেও স্বস্তি পেল না বাংলা। যুবরাজ সিংহ এবং হরভজন সিংহ এই ম্যাচে না খেললে কী হবে, বাংলার এক নম্বর স্পিনার ইরেশ সাক্সেনা জ্বরে ভুগছেন। ডাক্তারি পরীক্ষার পরে গলায় সংক্রমণও ধরা পড়ে। ম্যানেজার অবশ্য আশাবাদী, শুক্রবার ইরেশ নামতে পারবেন। যা খবর, রাহুল শর্মাদের বিরুদ্ধে টার্নিং ট্র্যাকেই পড়বে বাংলা। লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলছেন, “পিচে সামান্য ঘাস আছে। মনে হয় শুক্রবারের আগে সেটা ছেঁটে ফেলা হবে।” অধিনায়ক মনোজ অবশ্য এত কিছুকে পাত্তা দিচ্ছেন না। “রঞ্জি জেতার সেরা সুযোগ এ বার বাংলার সামনে। পঞ্জাবের বিরুদ্ধেও পয়েন্ট চাই,” বলে দিচ্ছেন তিনি। |