র্যান্টিদের কোচ শেষ ম্যাচেও হোঁচট খেলেন। রাতে প্রয়াগ কোচকে সরিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু সঞ্জয় সেনের সারাজীবন দু:খ থাকবেই যে, প্রয়াগ ইউনাইটেডের শেষ দিনটা তাঁর ভাল গেল না। ম্যাচটা জিতলে তিনি হয়তো ট্র্যাজিক হিরো হয়ে যেতেন। পয়েন্ট খোয়ানোয় শেষ পর্যন্ত মাথা নিচু করেই বিদায় নিতে হল তাঁকে।
তবে সঞ্জয় ভাগ্যবান, কালীঘাটের ‘খাঁড়া’ থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন সঞ্জয়। কলকাতা লিগের ম্যাচ হেরে ফিরতে হল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাদার দলের সঙ্গে ড্র করে সামান্য হলেও মুখ রক্ষা হল তাঁর।
র্যান্টি মার্টিন্স, কার্লোস হার্নান্ডেজ, সুব্রত পালের মতো মহাতারকারা খেলেননি। অন্য আই লিগের দলগুলির মতোই কলকাতা লিগকে পরীক্ষাগার করেছে প্রয়াগও। কিন্তু ইস্ট-মোহনের রিজার্ভ বেঞ্চ যে ভাবে এই টুর্নামেন্টের বিভিন্ন ম্যাচে ফুল ফুটিয়েছে, প্রয়াগ কিন্তু তা পারছে না। অথচ প্রয়াগের রিজার্ভ বেঞ্চও বেশ শক্তিশালী। লালকমল ভৌমিক, শঙ্কর ওরাও, লেস্টার ফার্নান্ডেজ, জেমস সিংহ-বড় নামের কমতি নেই। তবুও তারা আটকে গেল। মহম্মদ রফিকের দু’টো হেড আর একটা শট ছাড়া প্রয়াগ গোলের সুযোগ পেল কোথায়! তিনটি গোলই দুর্দান্ত দক্ষতায় বাঁচান কালীঘাটের কিপার শুভম সেন। জিততে চান বলেই সঞ্জয় এ দিন রিজার্ভ বেঞ্চের সঙ্গে নামিয়ে দিয়েছিলেন গৌরমাঙ্গি সিংহ, অনুপম সরকারদের। তাতেও হল না। উল্টে কালীঘাটের জেমস, তন্ময় কুণ্ডুদের দাপটে একটা সময় দিশাহারা দেখাল প্রয়াগকে। জেমসের একটা শট পোস্টে লেগে ফিরল। আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ পেল কালীঘাট।
এই ড্র-এ অবশ্য কোনও হেলদোল নেই প্রয়াগের। অন্তত মুখে। অরুণ ঘোষের ছেলেদের সঙ্গে ড্র করার দলের কোচ সঞ্জয় বললেন, “এই ম্যাচগুলোর সে ভাবে কোনও গুরুত্ব নেই। আই এফ এ এ বার লিগের যে কাঠামো করেছে তাতে মূলপর্বে এই ম্যাচের পয়েন্টের কোনও মূল্যও নেই।”
সঞ্জয়ের যুক্তি মেনে নিয়েও কিন্তু একটা প্রশ্ন উঠছেই, তা হলে কি প্রয়াগের রিজার্ভ বেঞ্চ এখনও তৈরি নয়? আই লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইতে থাকতে গেলে কিন্তু শক্তিশালী বেঞ্চ খুবই দরকার। |