রীতিমতো ‘হলিউড অ্যাকশন থ্রিলার’।
ভরদুপুরে রেস্তোরাঁর সামনে নিজের গাড়ি থেকে নামতেই সুন্দরী তরুণীর কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে চম্পট দেয় একদল দুষ্কৃতী। ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার হাল্কের বোন, ২২ বছরের অ্যাঞ্জেলিকা আপারেসিদা ভিয়েরার এই অপহরণের ঘটনায় তোলপাড় ব্রাজিলের ফুটবলমহল। এ শুধু মুক্তিপণের জন্য, না এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তাই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। নাটকের মোড় আবার ঘুরে যায়, যখন পরের দিনই অ্যাঞ্জেলিকাকে ছেড়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু তাতে জল্পনা তো কমেইনি, উল্টে বেড়ে যায়। |
ভাই-বোন। হাল্ক ও অ্যাঞ্জেলিকা |
সপ্তাহে এক লক্ষ পাউন্ড আয় যে ফুটবল তারকার, তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বোনকে অপহরণ করার প্রধান উদ্দেশ্য হতে পারে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ। একদল মনে করছে, মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দিয়েই বোনকে ছাড়িয়ে এনেছেন হাল্ক। এবং মুক্তিপণ পেয়েই ক্যাম্পিনা গ্রান্দেতে তাঁদের বাড়ির সামনের রাস্তায় এক রুপোলি রঙের গাড়ি থেকে অ্যাঞ্জেলিকাকে নামিয়ে দেয় অপহরকারীরা। পাশাপাশি, মাথা চাড়া দিচ্ছে আর একটা তত্ত্ব। কোনও গড়াপেটা চক্র এর সঙ্গে জড়িয়ে কি না, সে প্রশ্নও উঠছে। |
যত কাণ্ড সাম্বার দেশে |
• ১৯৯৪ মে: রোমারিওর বাবাকে অপহরণ করা হয় ৪০ লক্ষ পাউন্ডের জন্য। শেষ পর্যন্ত ছাড়া পেয়ে যান তিনি।
• ২০০৪ নভেম্বর: রোবিনহোর মা-কে অপহরণ করে ৪০ দিন আটকে রাখা হয়েছিল। পরে মুক্তিপণ নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
|
|
আশ্চর্যজনক ভাবে পুরো ব্যাপারটা পুলিশ গোপন রাখায় জল্পনা আরও বেড়েছে। মুখে কুলুপ তারকা ফুটবলারেরও। হাল্কের পরিবারই বিষয়টি থেকে পুলিসকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেছে বলে জানিয়েছে ব্রাজিলীয় রেডিও। ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী হেলিও দা সিলভাও ওই সময়ে তাঁর রেস্তোরাঁর সামনে গাড়ি থেকে নামছিলেন। অ্যাঞ্জেলিকাকে তিনি চেনেন। এক সময় হেলিওর রেস্তোরাঁয় ‘নিউট্রিশনিস্ট’ হিসেবে কাজ করতেন হাল্কের বোন। অপহরণের দৃশ্য দেখে তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। লন্ডন অলিম্পিকে ব্রাজিলের রুপোজয়ী ফুটবল দলের অন্যতম প্লেয়ার হাল্ক এই নিয়ে টুঁ শব্দটিও করেননি। এমনকী তাঁর পরিবারের লোকজনও চুপচাপ। প্রশ্ন উঠেছে, হাল্ককে ভয় দেখিয়ে কোনও শক্তির তাঁকে নিজেদের বশে রাখার জন্যই অপহরণ নয় তো? |