রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, এসি মিলান তিন মেগা দলই তাদের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচের হারের প্রতিশোধ নিতে পারল না গত রাতের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। উল্টে ইউরোপের সেরা ক্লাব হওয়ার লক্ষ্যে বিশাল বাজেটের টিম গড়ে ম্যান সিটি উপর্যুপরি দু’বার গ্রুপ থেকেই এক রকম ছিটকে যেতে বসেছে।
আয়াখসের বিরুদ্ধে দে জংয়ের প্রথমার্ধের জোড়া গোলের ধাক্কায় মানচিনির দল ০-২ পিছিয়ে পড়ে ফের হারের কবলে পড়েছিল। ইয়া ইয়া তোরে ও আগেরো সমতা ফেরালেও দলকে জেতাতে পারেননি। ‘গ্রুপ অব ডেথ’-এ রিয়াল মাদ্রিদও নিজেদের মাঠে বোরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে হারাতে পারল না। দু’বার পিছিয়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের শেষ মিনিটে ২-২ করে মানরক্ষা করল রিয়াল। রোনাল্ডো, দি’মারিয়া, ইগুয়াইন, মডরিচ এবং পরে পরিবর্ত নেমে কাকা বা এসিয়েন কেউই নায়ক হয়ে উঠতে পারেননি। রোনাল্ডোদের হার যখন নিশ্চিত দেখাচ্ছে, তখন ৮৯ মিনিটে ওজিলের গোল স্বস্তি ফেরায়। |
চার রাউন্ড শেষে শীর্ষে থাকা ডর্টমুন্ড (৮) ও দু’নম্বর রিয়ালের (৭) মধ্যে মাত্র এক পয়েন্টের তফাত হলেও ম্যান সিটি (২) অনেক পিছনে। আয়াখসের ৪ পয়েন্ট। অঙ্কের বিচারেই শুধু আশা আছে সিটির নকআউটে ওঠার। কিন্তু তাদের ইতালীয় কোচ মানচিনি সব আশা ছেড়ে দিয়েছেন। “আমরা বোকার মতো দুটো গোল হজম করেছি। এ রকম মরণবাঁচন ম্যাচে কর্নার থেকে দু’টো গোল আপনি কখনও খেতে পারেন না। এখন আর আমাদের কিছু করার নেই। সব আশা শেষ!” বলেছেন তিনি। ইনজুরি টাইমে তাঁর দল নিশ্চিত পেনাল্টি পায়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন মানচিনি। ম্যান সিটি-র যখন বিশাল বাজেটের দল গড়েও প্রত্যাশিত সাফল্য এল না, তখন মাঝারি মানের স্প্যানিশ দল মালাগা প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার সুযোগ পেয়েই নকআউটে উঠে গেল। মিলান নিজেদের মাঠেও মালাগাকে হারাতে পারেনি। উল্টে এলিসিউয়ের গোলে হাফটাইমে পিছিয়ে থাকার পরে দ্বিতীয়ার্ধে পাতোর গোলে ১-১ ড্র রাখতে পেরেছে। ‘সি’ গ্রুপে মালাগার ৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্টের অনেক পিছনে থেকে এসি মিলান (৫) দ্বিতীয়। বরং তৃতীয় আন্ডারলেখট এবং চতুর্থ জেনিতের সঙ্গে মাত্র এক পয়েন্টের তফাত থাকায় মিলান পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত নয়। |
আলো-আঁধার |
• আগেরো-বালোতেলির ম্যান সিটি-র প্রাথমিক গ্রুপ থেকে কার্যত বিদায়।
• নিজেদের মাঠে দু’গোলে পিছিয়েও ২-২ ড্র রোনাল্ডোদের।
• আর্সেনালের হয়ে ৫০তম গোল থিও ওয়ালকটের।
• প্রথম বার খেলার সুযোগ পেয়েই অখ্যাত স্প্যানিশ টিম মালাগা নকআউটে।
|
সেরা মন্তব্য |
বোকার মতো গোল খেয়েছি। সব আশা শেষ। —মানচিনি |
|
আর্সেনাল জার্মানিতে গিয়ে শালকের বিরুদ্ধে দু’গোলে এগিয়ে থেকেও ২-২ করে মুষড়ে পড়ার বদলে খুশি তাদের থিও ওয়ালকটের দুরন্ত খেলায়। ওয়ালকটই প্রথম গোল করেন ওয়েঙ্গারের দলের এবং প্রথমার্ধেই ২-০ করেন আর্সেনালের তরুণ ফরাসি প্রতিভা জিরু। কিন্তু হান্টেলার এবং ফারফানের পরপর গোলে শালকে সমতায় ফিরে ‘বি’ গ্রুপে ৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্টে শীর্ষে থাকল। এক পয়েন্ট পিছনে দ্বিতীয় স্থানে আর্সেনাল। তবে দুর্বল মঁপেলিয়ারকে ৩-০ হারিয়ে অলিম্পিয়াকোস ৬ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনালের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। যদিও সেই সব ভুলে ওয়েঙ্গার বহু দিন পর ওয়ালকটের পারফরম্যান্সের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অন্য দু’টি ম্যাচে প্যারিস সাঁ জাঁ ৪-০ হারিয়েছে জাগ্রেবকে। পোর্তো-কিয়েভ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। ফলে ‘এ’ গ্রুপে পোর্তো (১০) এবং সাঁ জা-র (৯) পয়েন্টের তফাত মাত্র এক। এবং দু’দলই নক আউটের পথে। |