পুলিশি নজরদারির বাইরে এ বার নিজেদের সুরক্ষিত করতে উদ্যোগী হলেন আলিপুরের বাসিন্দারা। নিজেদের খরচে এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে ১১৫টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসাচ্ছেন তাঁরা। তার মাধ্যমে নজরদারি চালাবে পুলিশ। এলাকাবাসীর সংগঠন ‘আলিপুর সিটিজেন্স ফোরাম’ জানায়, খরচ হচ্ছে প্রায় চার কোটি টাকা। সংগঠনের সম্পাদক এন কে তুলসিয়ান বলেন, “আলিপুরকে অপরাধ-মুক্ত করার পাশাপাশি অপরাধ নিয়ন্ত্রণে মডেল হিসেবেও গড়ার চেষ্টা হবে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, শহরের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা আলিপুরের বাসিন্দা। ক্যামেরা বসলে তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া সুবিধা হবে। পাশাপাশি চিড়িয়াখানা, হর্টিকালচার, জাতীয় গ্রন্থাগার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসকের অফিস, ভবানী ভবনের মতো এলাকাতেও নজরদারি করা যাবে। অর্থাৎ, আলিপুর থানার পুরো এলাকাই চলে আসবে ক্যামেরার নজরদারিতে। থানার কন্ট্রোল রুম থেকে এক জন অফিসার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবেন।
পুলিশ জানায়, দশটি জায়গায় ক্যামেরা বসানো শুরু হয়েছে। আগামী বছরের প্রথমে বাকি ক্যামেরা বসবে। ডিসি (দক্ষিণ) বিশাল গর্গ বলেন, “আলিপুর সিটিজেন্স ফোরাম এই ক্যামেরা বসালে অপরাধ দমনে সুবিধা হবে।” পুলিশের এক কর্তা জানান, ওই এলাকায় বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের উপর দুষ্কৃতীদের নজর থাকে। বছর কয়েক আগে অপহৃত হন রাজ্যের এক বিশিষ্ট শিল্পপতি। বছরখানেক আগে প্রাতর্ভ্রমণের সময়ে হর্টিকালচারে কয়েক জন যুবক এক ব্যবসায়ীর পিছু নেয়। তার পরেই নাগরিকদের এই সংগঠন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। হর্টিকালচার এবং জাতীয় গ্রন্থাগারের মতো প্রাতর্ভ্রমণের জায়গায় নিরাপত্তা বাড়ে।
তা হলে কি পুলিশের ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট নন এলাকাবাসীরা? সরাসরি পুলিশের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন না তুললেও তাদের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে এন কে তুলসিয়ান বলেন, “নিরাপত্তার স্বার্থে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পুলিশের পক্ষ থেকে এত টাকা ব্যয় সম্ভব নয়। তাই আমরা আলিপুর থানা এলাকায় নজরদারির জন্য ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিই।” |