প্রকাশ্যে জনবহুল এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে চোখ ও হাতে গুরুতর আঘাত পেলেন এক প্রৌঢ়া। বুধবার সকালে, বরাহনগর থানার আলমবাজার এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ ও স্থানীয় পুর-প্রতিনিধিদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নামানো হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। আনা হয় বম্ব স্কোয়াডও। পুলিশ জানায়, আহত প্রৌঢ়ার নাম পার্বতী দাস (৫০)। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বালি রাজচন্দ্রপুরের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়া দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রোজ সকালে আলমবাজারের ব্যাঙ্ক কলোনিতে কাগজ কুড়োতে আসতেন। এ দিনও বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তিনি আসেন। স্থানীয়েরা জানান, দুপুর ১২টা ১০ নাগাদ ব্যাঙ্ক কলোনির তরুণ সঙ্ঘ ক্লাবের সামনে একটি নর্দমার পাশ থেকে তিনি কিছু জিনিস কুড়োতে যান। তখনই একটি বিকট আওয়াজ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আওয়াজ শুনে আশপাশের বাসিন্দারা বেরিয়ে এসে দেখেন নর্দমার পাশেই গলির সামনে মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন পার্বতী। চারদিকে রক্ত। ঝলসে গিয়েছে তাঁর ডান হাতের কব্জি ও ডান চোখ।
খবর পেয়ে আসেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা ও বরাহনগর পুর-এলাকার স্থানীয় নেতারা। স্থানীয় লোকজন তাঁদের ঘিরে ধরেন। এলাকার আইনশৃঙ্খলা ক্রমশ অবনতি হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে শুরু হয় বিক্ষোভ। ঘটনাস্থলে একটি বস্তা পড়ে থাকাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বোমাতঙ্কও। পরিস্থিতি সামলাতে আসে বেলঘরিয়া থানার পুলিশবাহিনী এবং রিজার্ভ পুলিশবাহিনী।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিন সাতেক আগে রাতে ওই এলাকাতেই একটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। এর আগেও সেখানে বেশ কিছু বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বেশ কয়েক বার এ রকম ঘটনা ঘটছে। পুলিশকে জানিয়েও কিছু হয়নি।”
এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় চাপ চাপ রক্ত পড়ে রয়েছে। এলাকায় বহু মানুষের ভিড়। পড়ে রয়েছে একটি বস্তা। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ সিআইডির বম্ব স্কোয়াড বস্তাটি পরীক্ষা করে দেখেন। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এডিসি (বেলঘরিয়া) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “বোমাটি কোথা থেকে এল, তার তদন্ত হচ্ছে। এলাকায় যে প্রায়ই বোমাবাজি হয়, এমন খবর আগে পাইনি। তারও তদন্ত হচ্ছে।” |