শীতের আগে অসময়ের বৃষ্টি কপালে ভাঁজ ফেলেছে। নিম্নচাপের জেরে দু’দিনের বৃষ্টি রবি চাষে ব্যাপক ক্ষতি করেছে বলে জানিয়েছেন দুই ২৪ পরগণা, হুগলি, নদিয়া, মেদিনীপুর-সহ অন্য জেলার চাষিরা। ধান ও রবি শস্যে ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষি বিজ্ঞানীরাও।
চলতি বছরে বর্ষা দেরিতে আসায় আমন ধান লাগাতে অনেক দেরি হয়েছিল। ফলে কোথাও চাষিরা সবে ধান কাটছেন, কোথাও বা গোলায় তোলার অপেক্ষায় মাঠেই ডাঁই করে রাখা রয়েছে। কোথাও আবার পাকা ধান গাছেই রয়েছে।
অন্যদিকে, যে দোফসলি জমিগুতে রবি চাষ শুরু করেছিলেন চাষিরা, বৃষ্টি সে জমির চাষ প্রায় ধুয়ে দিয়ে গিয়েছে। প্রান্তিক সেই সব চাষিরা মহাজনের দাদনে রবি চাষ শুরু করেছিলেন। লাঙল দিয়ে জমি তৈরির পরে সার দিয়েছিলেন সর্ষে, গম। বৃষ্টি সবই ধুয়ে দিয়েছে বলে তাঁদের আক্ষেপ। |
শুধু তাই নয়, এই বৃষ্টি ভেজা জমির মাটি না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে দক্ষিণবঙ্গের আলু উৎপাদনকারী চাষিদের। আলু, সর্ষে বা গম লাগিয়েছিলেন যাঁরা তাঁরা এখন মেঘলা আকাশে ঝকঝকে সূর্য আর রোদের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। নদিয়ার বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। নীচু জমিগুলোতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিজ্ঞানী কৌশিক ব্রহ্মচারী বলেন, ‘‘খুব অল্প সময়ের বৃষ্টি হলেও ধান ও রবি শস্যের চাষিদের বড় ক্ষতি হল। ধানের যা ক্ষতি হল তা অপূরণীয়।’’ তবে ফুল ও অন্য সব্জির ক্ষেত্রে এবং যে সব ধানে এখন সবে ফুল এসেছে সেগুলি এই বৃষ্টিতে কিছুটা সুফল পাবে বলে কৃষি বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেছেন। কারণ এ বৃষ্টি পোকার ডিম নষ্ট করে শস্যহানি কমাবে বলে তাঁরা মনে করেছেন। |