জলসা শুনে বাড়ি ফেরার পথে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের করার অভিযোগ উঠেছে পাশের গ্রামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে ওই কিশোরী অভিযুক্ত ওই যুবকের বিরুদ্ধে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছে। পাশাপাশি, অভিযুক্ত যুবককে ধর্ষণে মদত দেওয়ার অভিযোগে তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ দিন দুপুরে ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পুলিশ রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ জানায়, ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বাড়ি হেমতাবাদ থানার আরাজি-কাশিমপুর এলাকায়। ওসি অভিজিৎ দত্ত বলেন, “অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি হচ্ছে।”
পুলিশি সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় দিনমজুর পরিবারের ওই কিশোরী বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে দেহুচি মোড় এলাকায় জলসা শুনতে যায়। বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে রাত ১১টা নাগাদ ছোট মেয়ে বাবাকে দেখার জন্য জলসা থেকে বাড়ির দিকে একাই রওনা হয়। সেই সময় মাদ্রাসা মোড় এলাকায় পাশের গ্রাম অন্যটা এলাকার বাসিন্দা ৩ যুবক তাকে রাস্তা থেকে জোর করে একটি তেজপাতা বাগানে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কিশোরীটি বাড়িতে ফিরে পরিবারের লোকজনকে তা জানালে এলাকায় প্রথমে সালিশি সভা ডাকা হয়। কিন্তু, অভিযুক্ত পরিবারের কেউ সালিশি সভায় যাননি। তখন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। হেমতাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেস প্রধান সইফুর রহমান বলেন, “ওই কিশোরীর ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ভরণপোষণের দায়িত্ব যাতে অভিযুক্তের পরিবার নেয় সে জন্য সালিশি সভার আর্জি জানানো হয়। কিন্তু অভিযুক্ত ও তাদের বাড়ির লোকজন সালিশি সভা এড়িয়ে যান। তখন কিশোরীর পরিবারকে পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দিই।” |