২ লক্ষ টাকা কেপমারির সময় শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বসানো সিসি ক্যামেরা কাজ না করায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে। শুক্রবার রাতে শিলিগুড়ি থানার সেবক মোড়ে একটি বাইকের ডিকি ভেঙে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সেবক মোড়ে ৩টি সিসি ক্যামেরা বসানো আছে। একটি ট্রাফিক পুলিশের, অপর দুটি ক্যামেরা এসজেডিএ-র। কেপমারির সময় এসজেডিএ’র ক্যামেরা দুটি কাজ করেনি। পুলিশ জানিয়েছে, ক্যামেরা দুটি যেখানে বসানো ছিল তাতে কেপমারির ঘটনায় দুষ্কতীদের ছবি উঠে যেত। ওই ঘটনায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।”
এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর শিলিগুড়ি। শহরের নিরাপত্তার স্বার্থে এসজেডিএ-র তরফে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। গোটা কমিশনারেট এলাকায় ৫৫টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সেগুলি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফে তা দেখভালের কথা। সেবক মোড়ে ক্যামেরা কেন কাজ করেনি খোঁজ নিয়ে দেখব। পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।”
শিলিগুড়ির অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার এ রবীন্দ্রনাথ অবশ্য জানিয়েছেন, ওই ক্যামেরাগুলি এখনও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, “সিসি ক্যামেরাগুলি এখনও আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। সেগুলির পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে বলে জানতে পেরেছি। তবে কেপমারির ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ট্রাফিকের যে ক্যামেরাটি রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ক্যামেরাগুলি মনিটরিং করার জন্য শিলিগুড়ির কমিশনারেটের কন্ট্রোল রুমে মনিটর বসানোর কথা। তা এখনও বসেনি।
এসজেডি-র চেয়ারম্যান জানান, বাগডোগরা, এনজেপি স্টেশন, শহরে পানিট্যাঙ্কি মোড়, সেবক মোড়, শেঠ শ্রীলাল মার্কেট সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। মহালয়ার অনুষ্ঠানে ওই ক্যামেরাগুলি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এসজেডিএ সূত্রের খবর, প্রায় আট কোটি টাকা খরচ করে একটি বেসরকারি সংস্থাকে বরাত দিয়ে ওই ক্যামেরা বসানোর কাজ করা হয়েছে। পুলিশ কর্তারা দাবি করেছেন, শহরে আপাতত ট্রাফিক পুলিশের ৭টি ক্যামেরা কাজ করছে। মহানন্দা সেতু সংলগ্ন মোড়ে ৪টি ক্যামেরা রয়েছে। এ ছাড়া পানিট্যাঙ্কি মোড়, সেবক মোড় ও হাসমিচকে একটি করে ক্যামেরা রয়েছে।
শুক্রবার রাতে সেবক মোড়ে হিলকার্ট রোডের পাশ থেকে চম্পাসারির বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীর বাইকের ডিকি ভেঙে দুষ্কৃতীরা ২ লক্ষ টাকা কেপমারি করে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার তদন্ত শুরু হতেই সিসি ক্যামেরার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ সূত্রের খবর, যেখান থেকে কেপমারি হয়েছে তা সিসি ক্যামেরা বন্দি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্যামেরা দুটি সে সময় বন্ধ ছিল। পরে অবশ্য এসজেডিএ যে বেসরকারি সংস্থাকে বরাত দিয়েছিল তাদের এক কর্ণধারকে ডেকে নিয়ে আসে পুলিশ। তিনি কয়েক মিনিটের মধ্যে ক্যামেরা ঠিক করে দেন। |