|
|
|
|
নয়াগ্রামে নালিশ |
বিএমওএইচ-কে মারধর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতর বিএমওএইচ-কে মারধরের অভিযোগ উঠল নয়াগ্রামে। রবিবার সকালে নয়াগ্রামের খড়িকামাথানি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্তব্যরত অবস্থায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ব্লক মেডিক্যাল অফিসার শান্তনু টুডু। অভিযুক্ত বিপ্লব দে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার। স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিপ্লব দে-র স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি নয়াগ্রামের নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রত্যন্ত এলাকায় ভ্রাম্যমান মেডিক্যাল ইউনিট-এর মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে থাকে। সরকারি অনুদান পাওয়ার জন্য বিএমওএইচ-এর মাধ্যমে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের (সিএমওএইচ) দফতরে তিন মাস অন্তর রিপোর্ট-কার্ড সমেত বিল পাঠান বিপ্লববাবুরা। সেই রিপোর্ট-কার্ডে সই করানো নিয়েই এ দিন গোলমাল বাধে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শান্তনুবাবুর বিরুদ্ধে পাল্টা মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন বিপ্লববাবু। উভয়পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিএমওএইচ শান্তনুবাবুর দাবি, “এ দিন খড়িকামাথানি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আপৎকালীন বিভাগে রোগিদের চিকিৎসা করার সময় বিপ্লববাবু সেখানে এসে রিপোর্ট-কার্ডে সই করার দাবিতে হইচই জুড়ে দেন। আমি তাঁকে সোমবার বা অন্য কোনও কাজের দিনে অফিসে আসতে বলি। কিন্তু তিনি অভব্য আচরণ শুরু করেন। প্রতিবাদ করায় আমাকে ঘুষি মেরে চেয়ার থেকে ফেলে দিয়ে কিল, চড় ও লাথি মারতে থাকেন। সহকর্মীরা কোনও রকমে বিপ্লববাবুকে নিরস্ত করেন।” পুলিশের পাশাপাশি দফতরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অভিযোগ জানিয়েছেন শান্তনুবাবু।
দ্বারিকাপল্লি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিপ্লববাবুর পাল্টা অভিযোগ, “গত জুন, জুলাই ও অগস্ট মাসের বিল সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখে বিএমওএইচ-এর দফতরে জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শান্তনুবাবু কিছুতেই রিপোর্ট-কার্ড সমেত বিলটি সই করে ছাড়ছিলেন না। বার বার ঘোরাচ্ছিলেন। বিষয়টি ইতিমধ্যে লিখিতভাবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানাই। এদিন বিলটি ছাড়ার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিএমওএইচ-কে ফের তাগাদা দিতে গিয়েছিলাম।” মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বিপ্লববাবুর পাল্টা দাবি, “কথা বলতে গেলে শান্তনুবাবুই উত্তেজনা তৈরি করে আমাকে মারধর করেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করিয়ে আমিও থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।” |
|
|
|
|
|