দু’টি বিভাগে পরীক্ষা পরে
পঞ্চায়েতকর্মী নিয়োগের পরীক্ষা শুরু আজ থেকে
ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরে কর্মী নিয়োগে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। আবেদনপত্র গ্রহণের কাজ শেষ। এ বার পরীক্ষার পালা। কিন্তু সে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে দু’টি বিভাগে (সহায়ক ও গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী) এত বেশি আবেদন পড়েছে যে, কী ভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে তার পরিকল্পনা করতেই হিমসিম খাচ্ছেন প্রশাসনিক কর্তারা। তাই ওই দু’টি বিভাগ বাদ দিয়ে বাকি বিভাগগুলির পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সেই সব পরীক্ষা। শেষ হবে ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি। পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম দত্ত বলেন, “যে বিভাগগুলিতে অপেক্ষাকৃত কম আবেদন এসেছে, সেগুলির পরীক্ষা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যে দু’টি বিভাগে প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
দীর্ঘ দিন ধরেই কর্মী সঙ্কটে ভুগছে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসগুলি। ২৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ২৯টি ব্লকে কাজের জন্য জেলায় ৩৪৮ জনকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরে মোট ৭টি বিভাগে কর্মী নিয়োগ হবে। সব আবেদনপত্র আসার পর দেখা যায়, প্রায় ১ লক্ষ ৮৫ হাজার বেকার যুবক-যুবতী আবেদন জানিয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে আবেদনের সংখ্যা একশোর কাছাকাছি, কিছু ক্ষেত্রে আবার ৩ হাজার। ব্লক ইনফরমেটিক অফিসার পদে ২ জনকে নিয়োগ করা হবে। সেখানে ৮৯ জন আবেদন জানিয়েছেন। নির্মাণ সহায়ক পদে ২৯টি পদের জন্য ২৮৫০ জন আবেদন জানিয়েছেন। এই সব পরীক্ষাগুলি আজ থেকে শুরু হচ্ছে।
প্রথম দিনে রয়েছে ব্লক ইনফরমেটিক অফিসার নিয়োগের পরীক্ষা। ১৮ নভেম্বর ডেটা এন্ট্রি অপারেটর (পদ ২টি), ২ ডিসেম্বর নির্মাণ সহায়ক (পদ ২৯টি) আর ১৬ ডিসেম্বর ক্লার্ক কাম টাইপিস্ট (পদ ২৫টি) নয়োগের পরীক্ষা হবে। ২০১৩-এর ৬ জানুয়ারি হবে অ্যাকাউন্ট্যান্ট কাম ক্লার্ক পদে নিয়োগের পরীক্ষা (পদ ১৮টি)।
বাকি থাকছে সহায়ক ও গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা। এই পরীক্ষা কবে হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি প্রশাসন। কারণ, প্রচুর আবেদন। গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মীর ২১৭টি পদের জন্য আবেদন পড়েছে ১ লক্ষ ১ হাজার ৮৪২টি। ৫৫টি সহায়ক পদের জন্য আবেদন পড়েছে ৭১ হাজার ২১টি। আবেদন বেশি পড়ায় একই শহরে পরীক্ষা নেওয়া অসম্ভব। পশ্চিম মেদিনীপুরের চারটি মহকুমা শহরেও এক সময়ে পরীক্ষা নেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। পরীক্ষা হবে স্থানীয় স্কুলে। এ জন্য কর্মী ও আধিকারিক প্রয়োজন। বড় স্কুলে ৩০০-৪০০ জনের পরীক্ষা একসঙ্গে নেওয়া গেলেও অনেক স্কুলেই দেড়শো-দু’শো জনের বেশি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। বিভিন্ন ব্লকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরীক্ষা নিলে আবার আবেদনকারীরা সমস্যায় পড়বেন, সমস্যায় পড়তে হবে প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও। তাই এক্ষেত্রে একই দিনে দু’টি ভাগে পরীক্ষা নেওয়া হবে কিনা (সে ক্ষেত্রে দু’রকম প্রশ্ন করতে হবে), তা হলে তা কী ভাবে করা হবে, একদিনে পরীক্ষা নিলে কতজন কর্মী ও আধিকারিক প্রয়োজন রয়েছে, তা পাওয়া যাবে কি না, পাওয়া গেলে কোন কোন বিভাগ থেকে তাঁদের নেওয়া হবেএ সব পরিকল্পনা করতেই সময় চলে যাচ্ছে।
প্রশাসন তাই ঠিক করেছে, আপাতত ৫টি বিভাগের পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে মিটে যাক। তারপর বাকি ২টি বিভাগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে দ্রুত গতিতে বাকি দু’টি বিভাগের পরীক্ষা নেওয়া ও নিয়োগের ব্যাপারেও প্রশাসন তৎপর বলে অতিরিক্ত জেলাশাসক জানিয়েছেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.