|
|
|
|
টাকা দিল সিএবি |
শহরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে নতুন ২টি ক্রিকেট পিচ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সিএবি’র বরাদ্দ অর্থে নতুন দু’টি পিচ তৈরি হচ্ছে মেদিনীপুর অরবিন্দ স্টেডিয়ামে। একটি কংক্রিটের, অন্যটি টার্ফের হবে। রবিবার থেকে প্রাথমিক কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। এর ফলে খুদে ক্রিকেটারদের সুবিধে হবে বলে মনে করছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। সংস্থার সম্পাদক কৃষ্ণদাস পাল বলেন, “নতুন পিচ তৈরি হলে সব সময় প্র্যাক্টিস করা যাবে। এর ফলে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, এমন ক্রিকেটারদেরই সুবিধে হবে।”
সম্প্রতি সিএবি জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছে। আইপিএলের লভ্যাংশ থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলার ক্রীড়া সংস্থাকে এই পরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, বরাদ্দ অর্থ ক্রিকেটের পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ করতে হবে। সেই মতো বিভিন্ন জেলা নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী পরিকল্পনা করেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষেত্রে নতুন দু’টি পিচ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। অরবিন্দ স্টেডিয়ামের পূর্ব দিকে তৈরি হচ্ছে দু’টি পিচ। এ দিন সকালে আশপাশের এলাকা পরিষ্কার করা হয়েছে। ঝোপঝাড় সাফসুতরো করা হয়েছে। কাজ দেখতে এসেছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক। ছিলেন মেদিনীপুর জেলা স্পোটর্স লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি আশিস চক্রবর্তী। পিচের পাশে ফেন্সিং হবে। স্টেডিয়ামে নতুন পিচ তৈরি হলে খুদে ক্রিকেটারদের সুবিধে হবে বলে মানছেন ক্রিকেট কোচ সুশীল শিকারিয়াও। তিনি বলেন, “এর ফলে সারা বছর প্র্যাক্টিস করার সুযোগ থাকবে। প্রতিটি জেলার ক্ষেত্রেই নিজস্ব পরিকাঠামো থাকা উচিত।”
অরবিন্দ স্টেডিয়ামের মাঠে একটি টার্ফের পিচ রয়েছে। তবে অন্য খেলাধুলো হলে পিচটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগে এখানে কংক্রিটের পিচই ছিল। কয়েক বছর আগে টার্ফের পিচ হয়। মাঠে অন্য খেলাধুলো হল তখন আর ক্রিকেট প্র্যাক্টিস করা যায় না। নতুন দু’টি পিচ তৈরি হলে, সেই সমস্যা থাকবে না। কারণ, যে এলাকায় পিচ তৈরি করা হবে, সেটি মাঠের বাইরে। তবে স্টেডিয়াম চত্বরেই। পরে এখানে আলোর বন্দোবস্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে, যাতে রাতে প্র্যাক্টিস করা যায়। মেদিনীপুরে মাঝেমধ্যে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ শিবির হয়। কয়েক মাস আগেই এখানে সিএবি’র উদ্যোগে ক্রিকেট প্রতিভা অন্বেষণ শিবির হয়েছিল। এসেছিলেন কোচ ডাভ হোয়াটমোর। শিবির করে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের খুঁজে বের করতে এই উদ্যোগ। মেদিনীপুর, খড়গপুরের মতো শহরে ইদানীং ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্পের সংখ্যা বেড়েছে। ক্রিকেট প্রশিক্ষণে আগ্রহ বেড়েছে। তবে নানা কারণে প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা রাজ্য স্তরে খেলার সুযোগ পায় না। অথচ দুই শহরে প্রতিভা রয়েছে। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর অভাবেই এই পরিস্থিতি বলে নালিশ ক্রীড়া মহলের একাংশের।
তবে নতুন পিচ তৈরি হলে প্র্যাক্টিস সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ক্রিকেট কোচ সুশীল বলেন, “সিএবি-ও চাইছে জেলায় নিয়মিত প্র্যাক্টিস হোক। আরও নতুন প্রতিভা সামনে উঠে আসুক।” তাঁর কথায়, “প্রশিক্ষণ শিবিরের প্রয়োজনীতা রয়েছে। খেলতে গিয়ে সাধারণত যে সব ভুল হয়, এমন শিবির হলে সেগুলি সংশোধন করা যায়। কোন বল কী ভাবে খেলতে হবে, তা বোঝা যায়।” টার্ফের পিচের নীচে ৪টি স্তর থাকে। এটি তৈরি করতে সময় লাগে। এখন এমন পিচেই ক্রিকেট খেলা হয়। জেলা ক্রীড়া সংস্থার বক্তব্য, পরিস্থিতি দেখে আলোচনার প্রেক্ষিতেই নতুন পিচ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। কাজ শুরু হয়েছে। সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। |
|
|
|
|
|