|
|
|
|
গাওস্করের অবসরের রজত জয়ন্তী আজ |
দুই সতীর্থের ফিরে দেখা |
রাজীব ঘোষ • মুম্বই |
পঁচিশ বছর আগে
পঁচিশ বছর আগের ৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন ভারতের সর্বকালের সেরা ওপেনার সুনীল গাওস্কর। ১৯৮৭-র বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হারের পরই তিনি জানিয়ে দেন, আর নয়। অবসরের রজত জয়ন্তী বর্ষপূর্তির দিনটায় অবশ্য দেশে থাকছেন না গাওস্কর। শনিবার রাতেই উড়ে গিয়েছেন লন্ডনে। তবে গাওস্করের সেই শেষ ম্যাচে খেলেছিলেন, এমন দুই ক্রিকেটার কিরণ মোরে এবং চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত সে দিনের স্মৃতি রোমন্থন করলেন আনন্দবাজারের কাছে।
|
|
বিদায় জানানোর সুযোগই পাইনি: মোরে
...ভারতীয় দলে আমার ডাকনাম ছিল জকি। নামটা সানিভাইয়ের দেওয়া। আমার ছোটাখাটো চেহারা আর মাত্র ৪০ কেজি ওজন দেখে নামটা দিয়েছিল। প্রথম স্লিপে ফিল্ডিং করতে করতে আমার উপর নজর রাখত। দাঁড়ানোর বা হাঁটার সময় আমার পায়ের পাতা বাঁকা থাকে। চার্লি চ্যাপলিনের মতো। ব্যাপারটা ওর পছন্দ ছিল না। হাঁটা শোধরানোর পরামর্শ দিত সব সময়। ওয়াংখেড়ের ওই ম্যাচটা যে গাওস্করের শেষ ম্যাচ, জানা ছিল না। তখন সবে ভারতীয় দলে খেলছি। ড্রেসিংরুমে এ সব কথা হত না। সানিভাই কম রানে আউট হয়ে ফিরলে আমরা সবাই ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে যেতাম ওকে একা থাকতে দেওয়ার জন্য। একে হারের দুঃখ, তার উপর পরের দিন কাগজে আরও বড় দুঃসংবাদ পেলাম। সানিভাই আর ভারতের হয়ে খেলবে না। মাঠে এক বারও ওকে বিদায় জানাতে পারলাম না ভেবেই খারাপ লেগেছিল বেশি।
ড্রেসিংরুমেও কাউকে বুঝতে দেয়নি: পণ্ডিত ...
সেই বিশ্বকাপে মোরে ছিল আমার রুমমেট। দুই উইকেটকিপার একই ঘরে আছি শুনে সানিভাই বলেছিল, “শেষে না এক জনকে আমাদের হারাতে হয়।” সবাই হো হো করে হাসছে। বললাম, “আমরা ভাল বন্ধু। চিন্তা কোরো না।” এমনই সব জোক করত জুনিয়রদের সঙ্গেও। সেমিফাইনালে হারের পরের দিন যখন জানতে পারলাম, গাওস্কর অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কী খারাপ লেগেছিল, পঁচিশ বছর পরেও ঠিক বলে বোঝাতে পারব না! ড্রেসিংরুমেও সে দিন গাওস্কর কাউকে বুঝতে দেয়নি ব্যাপারটা। আগে থেকে ব্যাপারটা জানা থাকলে যদি আমাদের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়ে, সে জন্যই। অবসরের ম্যাচে চার রানের বেশি না পেলেও আগের ম্যাচগুলোয় যে গাওস্করকে দেখেছিলাম, সে রীতিমতো আক্রমণাত্মক। টেস্ট ম্যাচের গাওস্কর নয়। ওয়ান ডে-র সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে নিয়েছিল। অথচ একবার রঞ্জিতে ক্রিজে এসেই পরপর দুটো বল স্টেপআউট করে চালিয়েছিলাম। পর মুহূর্তে এসে বলেছিল, “তোমার পিছনে কি পুলিশ লেগেছে? এত তাড়া কীসের?” এটাই আসল গাওস্কর। |
|
|
|
|
|