|
|
|
|
চাণক্যশ্লোক |
|
ডেম্পো ম্যাচের ডিভিডি
আজই ছেলেদের দেখাব ট্রেভর জেমস মর্গ্যান |
|
শনিবারের রাতটা সবচেয়ে খারাপ ছিল। রবিবারও খবরের কাগজগুলো পড়ে হারের রেশটা থেকে যাচ্ছে। কিন্তু সোমবারের ট্রেনিং শুরু হতে-হতে সে সব ভুলে যাওয়া হবে।
হ্যাঁ, শনিবার ডেম্পোর সঙ্গে ড্র করার পরে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার আর আমার কী অনুভূতি হতে পারে, সেটা নিয়েই বলছি। তবে একটা ব্যাপার খুব পরিষ্কার করে দিই। ড্র নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। আমার টিম এক পয়েন্ট তো পেল। হ্যাঁ, তিন পয়েন্ট পেলে সেটা দারুণ হত। কিন্তু নেতিবাচক জিনিসগুলো নিয়ে বসার আগে সবচেয়ে ইতিবাচক দিকটা বলে নিই। শনিবারের ড্রয়ের সঙ্গে-সঙ্গে আরও একটা রেকর্ড করে ফেলল আমার টিম। টানা পঁচিশটা ম্যাচে আমরা অপরাজিত। খুব বড় কৃতিত্ব।
এ বার নেতিবাচক ব্যাপারগুলোয় আসি। সত্যি বলতে কী, ডেম্পো ম্যাচের স্কোরলাইনটাকে ‘শকিং’ ড্র বললে ভুল হবে না। গোটা ম্যাচে অসাধারণ খেলে শুধু দশ সেকেন্ডের জন্য ফোকাস নষ্ট হয়ে গেল আমাদের। তবে এটাই আধুনিক ফুটবল। একটা ভুল করলেই বিপক্ষ তার পুরো ফায়দা তুলতে ঝাঁপিয়ে পড়বে। ডেম্পো যে ভাবে গোলটা করল, তাতে হতাশা আরও বেড়ে গিয়েছে। যদি তিন জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নেটের উপরের বাঁ দিক দিয়ে কেউ গোল ঢোকায়, তা হলে সেই গোলের প্রশংসা করা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। তা সে বিপক্ষ দলের গোল হলেও। কিন্তু ডেম্পোর গোলটা খুব সাধারণ ছিল। যার জন্য নিজেদের দোষ দেওয়া ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই। |
চিডি এডে
ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে- ম্যাচ ১২ গোল ৯
জাতীয় লিগ ও আই লিগে- ম্যাচ ১৭৮ গোল ৭৯
ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে- ম্যাচ ৩১৭ গোল ১৯২ |
|
|
|
টোলগে ওজবে
ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে- ম্যাচ ৯৩ গোল ৬৬
ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে আই লিগে-ম্যাচ ৪৫ গোল ৩৫
মোহনবাগানের হয়ে- ম্যাচ ৫ গোল ৩ |
|
পরিসংখ্যান: হরিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় |
|
আর এখানেই টিম আর কোচের চরিত্র খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। একটা ভাল টিম সব সময় তাদের ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করবে। যাতে এক ভুল আবার না হয়। বিশ্বের যে কোনও ফুটবল দলের ক্ষেত্রেই ফর্মুলাটা এক। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন, ভারতীয়দের কোচিং করানো কি অন্য দেশের ফুটবলারদের কোচিং করানোর চেয়ে বেশি কঠিন? বিশেষ করে যখন ভারতীয়রা খুব বেশি আবেগপ্রবণ। আমার উত্তর হল, কখনওই না। কারণ বিশ্বের যে কোনও দেশেই ফুটবলের সঙ্গে প্রচণ্ড আবেগ জড়িয়ে থাকে। মুহূর্তের ভুলে একটা গোল খেয়ে গেলে হাজার চল্লিশেক সমর্থকের মেজাজ যখন নিমেষে পাল্টে যায়, তখন যে কোনও ফুটবলার, কোচ বা কর্মকর্তাই প্রচণ্ড হতাশ হয়ে পড়েন।
এই হতাশা কাটানোর রাস্তা একটাই। ভুলটা ভুলে গিয়ে, সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। ইস্টবেঙ্গলও যেমন ঠেকে শিখল। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, এই ড্র আমাদের সাহায্য করবে। নতুন করে নিজেদের তাতিয়ে নিয়ে সামনের চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলা করতে। আর একটা জিনিসও সাফ-সাফ বলে দিই। ভুল থেকে শেখার ব্যাপারটা সোমবারের প্র্যাক্টিস থেকেই শুরু হয়ে যাবে। শনিবারের ম্যাচের একটা ডিভিডি চেয়েছি। ওটা পেয়ে গেলে রবিবার রাতেই ল্যাপটপে লোড করে নেব। সোমবার যাতে ফুটবলারদের ওটা দেখিয়ে বলতে পারি, ঠিক কখন ওদের ফোকাস নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ওদের মতো মোটিভেটেড ফুটবলাররা ওই ভিডিও দেখেই বুঝতে পারবে, ঠিক কী ভুল হয়েছিল। এখনও দেখছি অনেকেই আমাকে বলছেন চিডি আর টোলগের তুলনা করতে। কী বলতে পারি বলুন? ওরা দু’জন একেবারে আলাদা ঘরানার দুই ফুটবলার। ওদের মধ্যে তুলনা টানাটা তাই বোকামি। হ্যাঁ, আমরা টোলগেকে হারিয়েছি। এর বেশি কিছু বলার নেই। অন্য দিকে চিডি শারীরিক ভাবে খুব শক্তিশালী। বক্সের উপরের দিকে বলটা নিজের কাছে রাখতে পারে। এ ছাড়া ড্রেসিংরুমে চিডি খুব মিশুকে। যার জন্য টিম স্পিরিট সব সময়ই ভাল জায়গায় থাকে। আর ভুলে যাবেন না, চিডির ফুটবল-মস্তিষ্ক প্রচণ্ড তীক্ষ্ণ। চাপের মুখে যেটা টিমকে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। |
|
|
|
|
|