আমরা দল হয়ে উঠছি, বললেন ওডাফা |
দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় • কলকাতা |
কোচ মৃদুলের কথায়, তিনি মাঠে জ্বলজ্বল করছেন।
সেই জ্যোতিষ্ক ওকোলি ওডাফার হ্যাটট্রিকের ট্যাকটিক্যাল নকশা সে দিনই ময়নাতদন্তের জন্য চলে গেল ট্রেভর মর্গ্যানের ফাইলে।
যুবভারতীর প্রত্যেক ম্যাচের মতো এ দিনও মাঠে হাজির ছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচের সহকারী রঞ্জন চৌধুরী। ওডাফার তিনটে গোলের সময়ই তিনি মন দিয়ে নোট নিলেন। রঞ্জনও মোহিত ওডাফার হ্যাটট্রিকে, “ওডাফা ছন্দে থাকলে ওকে নিয়ে ভাবতেই হবে।”
যার জন্য এত আয়োজন চলতি আই লিগে চার ম্যাচে পাঁচ গোল করা সেই ওডাফা কী বলছেন? খেলা শেষে ক্লাব-কর্মীদের কাঁধে ভর দিয়ে টানেল দিয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে ড্রেসিংরুমে ফিরছিলেন। সেখানেই জনৈক সমর্থক যেই না বলেছেন, “র্যান্টি হ্যাটট্রিক করছিল। এ বার ওডাফা জেগেছে।” ভাষা না বুঝলেও র্যান্টি নামটা শুনেই স্থির দৃষ্টিতে একবার বক্তার দিকে তাকালেন। তাতেই স্তব্ধ সব ফিসফাস। |
|
স্পোর্টিং ক্লুবের ডিফেন্স তছনছ করছেন ওডাফা। ছবি: উৎপল সরকার |
এ দিন যুবভারতীর ভিআইপি বক্সে চার ছেলেকে নিয়ে স্বামীর হ্যাটট্রিক দেখলেন ওডাফার স্ত্রী অ্যাঞ্জেলও। বাড়ি ফেরার আগে তিনি আবার বলছেন, “প্রথম গোলটা অনবদ্য। দারুণ লাগছে।” ছেলে কোলে ঘরমুখো ওডাফাও বলে গেলেন, “আজ বিজয়ীর মতো খেললাম। তিনটে গোল করে আমি খুশি। এই জয় দলের। আমাদের বন্ধন ক্রমে সুদৃঢ় হচ্ছে। দল আরও বেশি পরিবার হয়ে উঠছে।”
দলনায়কের মন্তব্য শুনে মাঝমাঠের স্তম্ভ রহিম নবি বললেন, “ওডাফার খুশি ধরে রাখতে আমাদের আরও বল বাড়াতে হবে। ও গোল পেলে লাভ আমাদেরই।” হ্যাটট্রিকের নীল-নকশা পেলেও গোলমেশিনকে আরও ক্ষুরধার করার নবিদের এই প্রয়াস কিন্তু অজানা ডিসেম্বরের নয় তারিখে ওডাফাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর। |
|