শুধু শহিদ মিনার এলাকাতেই নয়, এ বার বাজির বাজার বসছে যাদবপুরের কিশোরভারতী স্টেডিয়াম ও বড়িশা কলেজের মাঠেও। রবিবার সকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী হলে কলকাতা পুলিশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে বহুতল আবাসনের প্রতিনিধিদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের আশা, তিনটি বাজি বাজার হওয়ায় শুধু কলকাতারই নয়, শহরতলির মানুষও এ বার এই বাজার থেকে বাজি কেনার সুযোগ পাবেন।
কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, চলতি মাসের ৭ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে বাজি বাজার। কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে ১০০টি, বড়িশা কলেজের মাঠে ৭০টি ও শহিদ মিনারে ১৪০টির মতো স্টল বসবে। কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার দেবাশিস রায় বলেন, “গত কয়েক বছরে দেখেছি, শহিদ মিনারের কাছে যে বাজি বাজার বসে, সেখান থেকে মূলত কলকাতার লোকজনই বাজি কেনার সুযোগ পান। শহরতলির ক্রেতারা বাজি কিনতে এত দূরে আসতে চান না। বাজি বাজার থেকে তাঁদের বাজি কেনার সুযোগ করে দিতেই আরও দু’টি বাজার বসানো হচ্ছে।” |
কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারা জানান, যাদবপুরের কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে বাজি বাজার বসায় গড়িয়া বা সোনারপুর এলাকার মানুষ এখান থেকে বাজি কিনতে পারবেন। আবার বড়িশার বাজি বাজার থেকে বাজি কেনার সুযোগ পাবেন ঠাকুরপুকুর, জোকা এলাকার লোকজন। তাদের আর শহিদ মিনারের বাজি বাজারে আসতে হবে না।
তিনটি বাজি বাজারকে স্বাগত জানিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদও। পর্ষদের চেয়ারম্যান বিনয়কান্তি দত্ত বলেন, “আমরা বারবার জোর দিচ্ছি লাইসেন্সযুক্ত দোকান থেকে বাজি কিনতে। শহরে তিনটি বাজি বাজার হলে সব এলাকার মানুষই সহজে বাজি কিনতে পারবেন।”
বাজি বাজার থাকলেও কালীপুজোর আগে শহরতলির নানা জায়গায় গজিয়ে ওঠে বাজির দোকান। অভিযোগ, ওই সব দোকানে দেদার বিক্রি হয় নিষিদ্ধ শব্দবাজিও। কলকাতা পুলিশের আশা, এ বার শহিদ মিনার ছাড়াও শহরতলিতে দু’টি বাজি বাজার হওয়ায় পাড়ার দোকানের নিষিদ্ধ শব্দবাজিকে কিছুটা হলেও জব্দ করা যাবে। |