|
|
|
|
দীপাবলির আগে ডানলপ খোলার ইঙ্গিত রুইয়ার
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও চুঁচুড়া |
সব কিছু ঠিকঠাক চললে দীপাবলির আগে সাহাগঞ্জের কারখানা খোলার ইঙ্গিত দিলেন ডানলপ কর্তৃপক্ষ। তবে কারখানা চালু হবে ধাপে ধাপে।
রবিবার কলকাতার রুইয়া সেন্টারে কারখানার বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডানলপ চেয়ারম্যান পবন রুইয়া। রুইয়ার দাবি, সংগঠনগুলি পর্যায়ক্রমে কারখানা চালুর ব্যাপারে কার্যত সম্মতি জানালেও এ দিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। তাদের সিদ্ধান্তের উপরেই গোটা বিষয়টি নির্ভর করছে।
ব্যবসা লাভজনক করে কারখানা বাঁচাতে অদূর ভবিষ্যতে আধুনিক প্রযুক্তির রেডিয়াল টায়ার তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে ডানলপ কর্তৃপক্ষের। সে কথাও বৈঠকে জানান রুইয়া। তবে তা চালু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ে। বস্তুত, প্রথাগত টায়ার তৈরির পাশাপাশি ঘুরে দাঁড়াতে আধুনিক প্রযুক্তির হাত ধরতে চাইছে সংস্থাটি।
বৈঠকের পরে রুইয়ার দাবি, শ্রমিকদের অনেকগুলি দাবিই তাঁরা মেনে নেন। তিনি বলেন, “আমরা ৬ নভেম্বরই কারখানা খোলার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তার আগে শ্রমিকদের বিভিন্ন বকেয়া কী ভাবে মেটানো হবে, তা তাঁদের কাছে ব্যাখ্যা করি। আমাদের মনে হয়েছে, তাঁরাও সেই সব প্রস্তাবে সম্মত। কিন্তু শ্রমিকরা জানান, গোটা বিষয়টি নিয়ে ৭ তারিখ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন। ওঁরা সহমত হলে দীপাবলির আগেই কারখানা খুলতে চাই আমরা।”
আইএনটিটিইউসি, সিটু এবং আইএনটিইউসি কারখানার তিনটি শ্রমিক সংগঠনের ১২ জন প্রতিনিধি ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। কারখানা খোলার আগে তাঁরা শ্রমিকদের বিভিন্ন বকেয়া মেটানোর দাবি তোলেন। রুইয়ার দাবি, এর মধ্যে বেশ কিছু বকেয়া (যেমন মৃত শ্রমিকের প্রাপ্য ও তাঁর সৎকার বাবদ যে খরচ কর্তৃপক্ষ দেন, শ্রমিকদের অক্টোবরের বেতন, আগাম অবসর নেওয়া শ্রমিকদের বকেয়া পিএফ, আগামী সপ্তাহ থেকেই কিস্তিতে এককালীন অর্থ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা ইত্যাদি) অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া আগাম অবসর নেওয়া ও অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের বাকি পাওনাও যত দ্রুত সম্ভব পর্যায়ক্রমে মিটিয়ে দেওয়া হবে।
আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি বিদ্যুৎ রাউত বলেন, “আমরা রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রীকেও গোটা বিষয়টি জানাব। শ্রমিকদের সঙ্গেও কথা বলব। ৭ তারিখ নিজেদের মধ্যে বৈঠক করব। আমরা চাই, সরকারি মধ্যস্থতাতেই কারখানা খোলার প্রক্রিয়া চলুক।” ডানলপের সিটু নেতা বিতান চৌধুরী বলেন, “অপ্রস্তুত অবস্থায় কারখানা খুলে আবার সমস্যা তৈরি হোক, তা আমরা চাই না। শ্রমিকরা কার্যত অভুক্ত। তাঁদের হাতে টাকা নেই। তাঁদের বকেয়া পাওনার বিষয়টি সমান গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠকে আশ্বাস মিলেছে, মাসিক কিস্তিতে বকেয়া মেটানো হবে। আগামী দু’বছরের মধ্যে সব শ্রমিককে ধাপে ধাপে কাজে নেওয়া হবে। কেউ স্বেচ্ছাবসর নিতে চাইলে, তাও বিবেচনা করে দেখা হবে।”
বর্তমানে ডানলপের যন্ত্রপাতিগুলির যা হতশ্রী অবস্থা, তাতে উৎপাদন কতটা ভাল ভাবে করা যাবে তা নিয়ে শ্রমিক এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও সন্দিগ্ধ। বিশেষজ্ঞ কমিটিকে দিয়ে কারখানার বর্তমান হাল-হকিকত বিশ্লেষণ করানো উচিত বলে আগে থেকেই দাবি করে আসছেন তাঁরা। |
|
|
|
|
|