বর্ধিত ভাড়া সংক্রান্ত নির্দেশিকা এখনও এসে পৌঁছয়নি। তাই রবিবারও বাস-মিনিবাসের নতুন ভাড়া নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটল না বীরভূমে। জেলা পরিবহণ আধিকারিক রাজীব মণ্ডল জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশ হাতে পেলেই দ্রুত নতুন ভাড়া তালিকা কার্যকর হবে। শনি ও রবিবার দু’দিন সরকারি অফিস বন্ধ থাকায় ওই নির্দেশ এসে পৌঁছয়নি বলেই জেলা পরিবহণ দফতর থেকে জানা গিয়েছে।
জ্বালানি ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের দাম উত্তরোত্তর বাড়লেও দীর্ঘদিন ভাড়া বাড়েনি পরিবহণে। এই পরিস্থিতিতে বাস চালাতে না পেরে ইতিমধ্যেই জেলার প্রায় ৪০টি রুটের একটা বড় অংশে বন্ধ হয়ে রয়েছে বাস চলাচল। অধিকাংশ বাস মালিকই তাই চেয়ে আছেন সরকারের বর্ধিত ভাড়া তালিকার দিকে। এই পরিস্থিতিতে জেলায় অবিলম্বে নতুন ভাড়া চালুর বিষয়ে রবিবারই বৈঠকে বসেছিল জেলার বাস মালিকদের দু’টি বড় সংগঠন। সিউড়ির ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ‘বীরভূম জেলা বাস মালিক সমিতি’ এবং ‘বীরভূম জেলা বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর প্রতিনিধিরা। |
বাস মালিক সংগঠনগুলির দাবি, বেশ কিছু জেলায় সরকার নির্ধারিত নতুন বাসভাড়া চালু হয়ে গেলেও বীরভূমে এখনও তা কার্যকর করা যায়নি। জেলা প্রশাসন থেকে তাঁদের নতুন ভাড়া তালিকা না দেওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বাসমালিকেরা।
বীরভূম জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস মুখোপাধ্যায় জানালেন, “সরকার নির্ধারিত নতুন বাসভাড়া চালু করার দাবিতে আমরা আজ, সোমবার জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনায় বসব। নতুন বাসভাড়া আদায়ে যাতে কোনও সমস্যার সৃষ্টি না হয়, তার জন্য প্রশাসনিক সহায়তাও চাইব।” জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনায় জেলার বেহাল রাস্তাগুলি দ্রুত সংস্কার করা নিয়েও তাঁরা দাবি জানাবেন। সিউড়ি, বোলপুর, রামপুরহাট মহকুমার বিভিন্ন বেহাল রাস্তা, বিশেষ করে বীরভূমের ‘লাইফ লাইন’ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল দশার কথাও তাঁরা তুলে ধরতে চান জেলাশাসকের কাছে।
জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মিনা অবশ্য বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক কী তা পরিবহণ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানব। সরকারের নির্দেশ মেনে সব কাজই করা হবে।” নতুন ভাড়া আদায়ে সমস্যা হলে প্রশাসন থেকে তার মোকাবিলা করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। |