ড্র ম্যাচের পর দুই শিবিরেই ভিলেন হয়ে গেলেন মণিপুরের রেফারি অজিত মিতেই।
সুয়েকা রিউজির পেনাল্টি পাওয়ার দাবি ন্যায্য স্বীকার করে নিয়েও রেফারির বিরুদ্ধে তোপ দেগে দিলেন চিডি-মেহতাবরা। পাল্টা ডেম্পো ফুটবলারদের দাবি, পেনের পেনাল্টিটাও ইস্টবেঙ্গলকে উপহার দিয়েছেন রেফারি।
ম্যাচের শেষে যখন পেনাল্টি নিয়ে রেফারির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে গোয়া-বাংলার দুই ক্লাবে ঝড়, তখন ইস্টবেঙ্গলের শনিবারের অধিনায়ক মেহতাব হোসেন স্বীকার করে নিলেন, “সুয়েকার পেনাল্টিটা রেফারির দেওয়া উচিত ছিল। এটা যে পেনাল্টি ছিল তাতে কোনও সন্দেহ নেই।” পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, “ক্লাইম্যাক্সরা যে ভাবে রেফারিকে মারধর-ধাক্কাধাক্কি করলেন তাতে ডেম্পোর অন্তত তিন জনকে লাল- কার্ড দেখানো উচিত ছিল রেফারির।” ক্যাপ্টেনের সঙ্গে একমত এডে চিডিও। তিনি বলে দিলেন, “পেনাল্টিটা ওরা পেতেই পারত। কিন্তু কার্ডও দেখত ওরা। গোলগুলো নষ্ট না করলে আমরাই কিন্তু জিততাম।”
ক্লাইম্যাক্স, মহেশরা অবশ্য চিডির দাবি মানতে নারাজ। সুয়েকার পেনাল্টি না দেওয়া নিয়ে ম্যাচের পর তীব্র অসন্তোষ আই লিগ চ্যাম্পিয়নদের শিবিরে। স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে ক্ষুব্ধ ক্লাইম্যাক্স লরেন্স বলে গেলেন, “সুয়েকার পেনাল্টিটা পেলে আমরাই কিন্তু জিতে যাই। রেফারি আমাদের জিততে দিল না।” আর যাঁর পেনাল্টিকে ঘিরে এত বিতর্ক, সেই সুয়েকা রীতিমতো হতাশ। বললেন, “আমি যখন থেকে কলকাতায় খেলছি তখন থেকেই এ রকম জঘন্য রেফারিং দেখে আসছি। এখন আর আমি অবাক হই না। যারা ফাউল করল তাদের বদলে উল্টে আমাকেই কার্ড দেখালেন রেফারি।”
শুধু সুয়েকার নিশ্চিত পেনাল্টি বাতিল করা নিয়ে সরব হওয়াই নয়, মহেশ গাউলির মতো ডেম্পোর ফুটবলাররা অবশ্য আরও মারাত্মক অভিযোগ করেছেন মণিপুরের রেফারির বিরুদ্ধে। “পেন তো পুরো প্লে অ্যাক্টিং করে পড়ে গেল আমাদের বক্সে। ওর পেনাল্টিটা তো রেফারির উপহার।” মহেশকে আবার পাল্টা জবাব পেনের, “আমারটা যদি পেনাল্টি না হয় তবে কোনটা পেনাল্টি?” ডেম্পোর গোলকিপার শুভাশিস রায়চৌধুরির আবার প্রশ্ন, “পেনেরটা যদি পেনাল্টি হয় তবে সুয়েকার পেনাল্টিটা নয় কেন? আমার তো বরং পেনের পেনাল্টি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।” |