|
|
|
|
সিটুর ঝান্ডাবাজি, থমকে পালাটানা স্বপ্ন প্রকল্পের কাজ |
আশিস বসু • আগরতলা |
হলদিয়া বন্দরে তৃণমূলের আস্ফালন তো ত্রিপুরার পালাটানায় সিটুর ঝান্ডাবাজি। দু’রাজ্যে দু’পক্ষ শাসক, আর দু’ক্ষেত্রেই তাদের শ্রমিকদের দৌরাত্ম্যে লাটে উঠেছে কাজ। সিটুর জোরাজুরিতে বাম-শাসিত ত্রিপুরার স্বপ্নের বিদ্যুৎ প্রকল্প পালাটানায় অশান্তি তৈরি হয়েছে। সিটুর দাবি, তাদের তালিকা থেকেই লোক নিতে হবে। তা না মানায় প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা ভেল-এর সহযোগী সোজেক্স ওমান কোম্পানির কাজই বন্ধ করে দেয় সিটু। শেষ পর্যন্ত ভেল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিতে হয়েছে সোজেক্স-কে। কালী পুজোর পরে ফের সিটু নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হবে সোজেক্সকে।
ওএনজিসি এবং ত্রিপুরা পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড-এর যৌথ উদ্যোগে তৈরি ওটিপিসিএল গড়ছে পালাটানা বিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রকল্প রূপায়ণের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভেল-কে দায়িত্ব দিয়েছে ওটিপিসিএল। দেশি-বিদেশি সাতটি সংস্থাকে নিয়ে কাজ করছে ভেল। আন্তর্জাতিক সংস্থা সোজেক্স তার অন্যতম। সম্প্রতি মেকানিক্যাল এবং সিভিল কাজকর্মের জন্য সোজেক্স কিছু কর্মী নিয়োগ করে। তা নিয়েই সিটুর আপত্তি। তাদের দাবি, অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দিতে হবে। সিটুর নেতৃত্বে শ্রমিকরা চলতি সপ্তাহে দু’দিন কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে ওটিপিসিএল এবং ভেলের হস্তক্ষেপে সিটুর নেতাদের সঙ্গে কোম্পানির কর্তাদের বৈঠকের পর শ্রমিকেরা আবার কাজে যোগ দেয়। ঠিক হয়, কোম্পানিটি সিটুর দাবি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে। ভেলের এক কর্তা, আবদুল্লাহ আহমেদ লস্কর বলেন, ‘‘প্রকল্পে অদক্ষ শ্রমিকদের মধ্যে ৭০ শতাংশই স্থানীয় লোক। এর পরেও শ্রমিক অসন্তোষে মাঝেমধ্যেই কাজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে প্রকল্পের কাজেরই ক্ষতি হচ্ছে।’’
এখন বিভিন্ন ভেন্ডারের মাধ্যমে প্রায় দু’ হাজার শ্রমিক পালাটানায় কর্মরত। সিটুর রাজ্য সম্পাদক পীযূষ নাগের কথায়, ‘‘সোজেক্সের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝিতে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সিটুর কথা হয়েছে। নিয়োগ নিয়ে স্পষ্ট নীতি তৈরি হলে সমস্যা আর থাকবে না।’’
পালাটানা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০০৭ সালে। ২০১২ সালের নভেম্বরে এসেও বিভিন্ন কারণে তা শেষ হতে পারছে না। ২০০৫ সালে যে প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছিল ৩ হাজার কোটি টাকা, এখন তার খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার কোটিতে। |
|
|
|
|
|