মানুষ হওয়া আর মানুষ গড়ার সম্পূর্ণ দেশজ একটি পরিপূর্ণ অবৈতনিক প্রতিষ্ঠান। একমাত্র সুস্থ শৈশবের বিকাশে সহায়তা। এখানে স্থান, বয়স,লিঙ্গ, ধর্ম,শিক্ষাগত ও অর্থনৈতিক সীমানার বিধি-নিষেধ নেই। মাধ্যম সম্পূর্ণ বাংলা।----ব্যানারে লেখা ওই বক্তব্যের বাস্তব রূপ দেওয়ার স্বপ্ন আঁকড়ে পথ চলেছেন ‘বাঁচবো বাঁচাবো’ সংস্থার দুই কর্ণধার ইন্দিরা সেনগুপ্ত এবং ইলা রায়। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন সমভাবাপন্ন কিছু মানুষজন। আর্থিক সহায়তা বলতে, ব্যানারেরই লেখা রয়েছে---‘সমুদ্র-হৃদয় প্রসারিত হস্ত-শুভাকাঙ্খী বন্ধুজন’।
মহালয়া তিথিতে সংস্থার উদ্যোগে আনন্দমেলার আয়োজন হয়। পিছিয়ে থাকা শিশু-কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে গড়ে ওঠা সংস্থার এটাই বার্ষিক উৎসব। বছরভর তাঁদের কাজ চলে। শিশু-কিশোরদের মেধা ও প্রতিভার আত্মপ্রকাশের সুযোগ করে দিতে শেখানো হয় হস্তশিল্প। মহড়া চলে নাটক, গান, আবৃত্তি ও নাচের। আনন্দমেলায় সে সবের প্রদর্শনী চলে। মেলায় সামিল হন শহরের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। মেলা প্রাঙ্গনে বসে প্রত্যেকের সঙ্গে খোলপরা মনে কথা বলার চেষ্টা করেন নয়াবস্তি পাড়ায় বাসিন্দা রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ইন্দিরা সেনগুপ্ত। এ বারের মেলা প্রাঙ্গন ডালিয়া চৌধুরী, দেবাশিস সরকারের মত শিল্পীদের তালিমে তৈরি মুখোশ, কার্ড ,ফুলদানি, সেলাই, কাগজের ঠোঙা সহ দেওয়াল পত্রিকা এবং রকমারি ছবিতে ভিন্ন চেহারা নেয়। চন্ডালিকার নির্বাচিত অংশ ও খ্যাতির বিড়ম্বনা পরিবেশন করে করল রিম্পা, ভব, অজয়, সমীররা। জয়তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনা ও নির্দেশনায় আগমনী বার্তা আলেখ্যতে অংশ নেয় শুভজিৎ, সুজন আরও অনেকে।
শ্রীমতি সেনগুপ্ত বছরভর থিয়েটারের তালিম দেন। নাটকে গান পরিবেশন করেন অযুক্তা সরকার। ম্যন্ডোলিনে প্রদোষ চৌধুরী। জয়তী বন্দোপাধ্যায়, আশিস সরকার, অঞ্জু আলম, উৎপল সেনগুপ্ত, আশিস সরকার, অতীন বসু, অরণ্য চক্রবর্তী সংস্থায় পড়ানোর কাজ করেন। আর্থিক সাহায্য দেন কেউ। বিভিন্ন স্কুলের ছেলেমেয়েরা জোগাড় করে দেয় শীতবস্ত্র।
|
কোচবিহার ইনস্টিউট অফ পারফর্মিং আর্টস (আইপা)-এর উদ্যোগে নাট্যোৎসব-২০১২ অনুষ্ঠিত হল গত ৭ এবং ৮ অক্টোবর। স্থানীয় রবীন্দ্র ভবন মঞ্চে আয়োজিত ওই উৎসবে ছিল দুটি ছোট, একটি অণু এবং একটি বড় নাটক। প্রথম দিন সকালে ১২টি দল ‘অঙ্গন’ নাটক পরিবেশন করে। সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয় পূর্বাচল দাশগুপ্তের রচনা ও নির্দেশনা এবং আইপার প্রযোজনায় নাটক ‘আত্মহনন’। এ ছাড়াও ছিল কলকাতার অল্টারনেটিভ লিভিং থিয়েটারের ‘বিষাদকাল’। শেষ দিনে ছিল আইপার অণুনাটক ‘জীবনদাতা’। রচনা সঙ্ঘমিত্রা কর। প্রয়োগ স্নেহাশিস চৌধুরী। দ্বিতীয় নাটক ছিল কোচবিহার জেনকিন্স স্কুল পরিবেশিত নাটক ‘রাজদর্প’।
|
আগামী ১০ নভেম্বর দীনবন্ধু মঞ্চে নৃত্যের বিভিন্ন আঙ্গিকের নান্দনিকতাকে নিয়ে নৃত্যছন্দম আয়োজন করেছে সৃজনশীল নৃত্য-সন্ধ্যার। দেড় দশক থেকে শীতের সন্ধ্যায় নৃত্যছন্দম ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। সংস্থার অধ্যক্ষা সুতপা রায় জানান, এবার প্রায় ৬০ জন নৃত্যশিল্পী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। বন্দনা, ঠুংরী এবং রবীন্দ্রনৃত্যের কোলাজ, বাংলা-বিহু-মারাঠী লোকনৃত্য, নজরুল নৃত্য, কত্থক নৃত্য থাকবে। শিশু শিল্পীরা পরিবেশন করবে রূপকথার নাটক ‘লালকমল- নীলকমল’।
|
নির্মল চক্রবর্তীর ই-কাব্যগ্রন্থ ‘মধ্যরাতে ভেঙে পড়ে চাঁদ’ মহালয়ার দিন ইন্টারনেটে প্রকাশিত হল। উত্তরবঙ্গের কবিদের মধ্যে প্রথম ই-কাব্যগ্রন্থ বের হল। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন রোশনি ইসলাম। কাব্যগ্রন্থটিতে মোট ২৮টি কবিতা রয়েছে।
|
রায়গঞ্জের চৈতন্য সাহিত্য পত্রিকার উদ্যোগে ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হল ‘সাহিত্য সম্মান-২০১২’ অনুষ্ঠান। ইস্টিটিউট মঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শুরুতে গান করেন সায়ন রায়। প্রকাশিত হয় চৈতন্য সাহিত্য পত্রিকার শারদ কবিতা সংখ্যা। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের লেখক, সাংবাদিককে সম্মান জানানো হয়। ছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক আনন্দগোপাল ঘোষ।
|
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে স্মরণ করলেন জলপাইগুড়ির সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রেমীরা। রবিবার বিকেল ৪টায় সুভাষ ভবনে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় সৌগত মুখোপাধ্যায়ের গানের মাধ্যমে। শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন রণজিৎ মিত্র। আলোচনায় অংশ নেন বিজয় দে, শুভময় সরকার, সুশান্ত নিয়োগী, সপ্তাশ্ব ভৌমিক, প্রলয় ভট্টাচার্য, কোয়েলা গঙ্গোপাধ্যায়। কবির কবিতা আবৃত্তি করেন আকাশ পালচৌধুরী ও জবা শর্মা। কবিতা পাঠে শ্রদ্ধা জানান শেখর কর, সৃজিতা চক্রবর্তী, দেবযানী সেনগুপ্ত প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন গৌতম গুহ রায়। সভাপতিত্ব করেন গল্পকার অশোক গঙ্গোপাধ্যায় ও গবেষক বিমলেন্দু মজুমদার। পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘের দার্জিলিং জেলা কমিটির উদ্যোগে ২৬ অক্টোবর শিলিগুড়ির হকার্স কর্নারে সুনীল স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট ব্যক্তি, সাহিত্যিক, লেখক, শিল্পী, কবি আবৃত্তিকারেরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
|
ত্রিশ বছরের পুরনো পত্রিকা ‘একলব্য’-র শারদসংখ্যা প্রকাশিত হল। প্রকাশচন্দ্র শাসমলের সম্পাদনায় পত্রিকাটিতে উপন্যাস, ছোটগল্প, অনুগল্প ছাড়াও রয়েছে উত্তরবঙ্গের একদল লেখকের কবিতা। অর্জুনবাবুর ‘বিস্ময়কর জীবন’ নামে একটি চিত্রশিল্প পত্রিকাটিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। উত্তরের প্রতিভা বিভাগে তুলে ধরা হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রতিভার জীবনকথা। |