ঠিকা ও অসংগঠিত শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে আন্দোলনের পথ ঠিক করতে আসন্ন রাজ্য সম্মেলনে দু’টি পৃথক অধিবেশনের ব্যবস্থা করছে সিটু। এর আগে পার্টি কংগ্রেসেও অসংগঠিত শ্রমিকদের নিয়ে বিশেষ প্রস্তাব পাশ করেছিল সিপিএম। দলের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট সম্প্রতি কলকাতায় পার্টি ক্লাসে এসে অসংগঠিত শ্রমিক এবং তার মধ্যে আবার পরিচিতি সত্তার (আইডেন্টিটি পলিটিক্স) সমস্যাগুলিকে আলাদা করে চিহ্নিত করে আন্দোলনে নামার পরামর্শ দিয়েছিলেন সিটুকে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তী শুক্রবার জানিয়েছেন, ঠিকা ও অসংগঠিত শ্রমিকদের সমস্যা গোটা দেশ জুড়েই বাড়ছে। এই প্রেক্ষিতেই হাওড়ায় আগামী ৮ থেকে ১১ নভেম্বর তাঁদের রাজ্য সম্মেলনে দু’টি আলাদা অধিবেশন-পর্ব রাখা হয়েছে। তবে সিটু সূত্রের খবর, তাদের সদস্যসংখ্যা যে ধাক্কা খেয়েছে, তার অধিকাংশই অসংগঠিত ক্ষেত্রে। তাই ওই ক্ষেত্র নিয়ে সিটুকে বেশি করে ভাবতে হচ্ছে। গত বারের তুলনায় রাজ্যে এ বার সিটুর সদস্য কমেছে দু’লক্ষেরও বেশি। তৃণমূলের সন্ত্রাস ছাড়াও সাংগঠনিক দুর্বলতা এই ক্ষেত্রে কী ভাবে দায়ী, তা নিয়ে আলোচনা হবে রাজ্য সম্মেলনে। হাওড়ায় সম্মেলন উপলক্ষে সোম ও মঙ্গলবার আলোচনাচক্রে উপস্থিত থাকবেন কারাট এবং সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি, নিরুপম সেন, সূর্যকান্ত মিশ্র। সম্মেলনের শেষ দিন ডুমুরজলায় সমাবেশে থাকার কথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের।
|
মাউসের এক ক্লিকে এ বার ঘরে বসেই রাজ্যের অর্থ দফতরে কোন ফাইল কত দিন, কোন অফিসারের কাছে পড়ে রয়েছে তা জানতে পারবেন সরকারি অফিসারেরা। এ ছাড়া কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, এবং দুই ২৪ পরগনায় কোন জমি কত বার বিক্রি হয়েছে, কার নামে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, তা-ও কম্পিউটারের মাধ্যমে জানা যাবে। চিঠিপত্র আদানপ্রদানও অনলাইন হবে। ভ্যাট এবং বিক্রয় কর অনলাইনে জমা দিতে হবে ছোট ব্যবসায়ীদের। শুক্রবার মহাকরণে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করেন, এই ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বাড়বে, মানুষের হয়রানি কমবে। কাগজের খরচও লাগবে না। কেউ কর ফাঁকি দিলে তা-ও সহজেই জানা যাবে। আগে অনাবাসী ভারতীয়রা কোনও সম্পত্তি হস্তান্তরের জন্য এজেন্ট ধরে একমাত্র স্টেট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কাজ করতে পারতেন। এখন থেকে তাঁরা ১৪টি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কম্পিউটারের সাহায্যে কাজ করতে পারবেন। এর জন্য ১২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করে আধুনিক সার্ভার বসানো হয়েছে। |