দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ঘেরাও নার্স |
এক রোগীকে নিগ্রহের অভিযোগে শুক্রবার সকাল থেকেই ডোমকলের মানিকনগর উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স শঙ্করী চক্রবর্তীকে সকাল থেকে ঘেরাও করে রাখেন গ্রামের মহিলারা। অভিযোগ, ওই নার্স প্রায়ই রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ঠিকমতো সেবাটুকু পর্যন্ত করতে অস্বীকার করেন। বুধবার গ্রামের মহিলা জেসমিনা বিবি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। তিনি বলেন, “আমার শরীর খারাপ ছিল। শঙ্করীদেবীকে ব্লাড প্রেসার মাপার অনুরোধ করি। এতেই ক্ষেপে গিয়ে তিনি আমাকে ঘাড়ে হাত দিয়ে বার করে দেন।” যদিও এই অভিযোগের ব্যাপারে ওই নার্স কোনও মুখ খুলতে চাননি। তাঁর কথায়, “যা বলার স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলবেন।” ডোমকলের বিমওএইচ শুভরঞ্জন চন্দ বলেন, “ওই নার্সের নামে এর আগেও অনেক অভিযোগ হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন থেকে তাঁকে সতর্ক করে চিঠিও এসেছে। আমরা বিষয়টি জানিয়েও তাঁর কোনও হেলদোল নেই। শুনেছি তিনি ঘেরাও আছেন। কিন্তু আমাকে কিছুই জানাননি।”
|
অপহরণের দিন সাতেক পর এক কিশোরীকে বৃহস্পতিবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের মীর্জাপুরের এক বাড়ি থেকে উদ্ধার করল সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। ২৬ অক্টোবর শুক্রবার নিমতিতার কাছে ধূসরিপাড়া কলোনীর ওই কিশোরীর দাদা ও মায়ের গলায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে অপহরণ করে। ঘটনার পরদিনই সমীরণ হালদার ও অখিল হালদারকে ধরে পুলিশ। তারা এখন জেল হেফাজতে। এরপর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ ঘটনার মূল পান্ডা স্বপন বক্সিকে বৃহস্পতিবার মীর্জাপুরের একটি বাড়ি থেকে ধরে পুলিশ। স্বপনের সঙ্গে ওই বাড়ি থেকেই অপহৃত কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্তকারী অফিসার গৌরকিশোর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্তের মোবাইলের কললিস্ট পরীক্ষা করে বৃহস্পতিবার মীর্জাপুর খেকে স্বপনকে ধরা হয়। উদ্ধার করা হয় ওই তরুণীকেও। আদালতের নির্দেশে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।” ওই কিশোরীর দাদা সজ্ঞয় হালদার বলেন, “স্বপনের বাড়ি আমাদের পাড়াতেই। নানা প্রলোভন দেখিয়ে অনেক দিন থেকেই সে বোনকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। প্রলোভনে কাজ না হওয়ায় দিন সাতেক আগে, শুক্রবার আমাদের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে বোনকে তুলে নিয়ে যায়।”
|
অগ্নিদগ্ধ স্ত্রী-কে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন স্বামী। পরে চিকিৎসা চলাকালীন দু’জনেরই মৃত্যু হয়। মৃত দম্পতির নাম ফিরোজা বিবি ও আলতাফ হোসেন। বাড়ি বেলডাঙার রতনপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক অশান্তির জেরে গত ১৫ অক্টোবর ফিরোজা বিবি গায়ে আগুন দিলে আলতাফ তাঁকে বাঁচাতে যান। অগ্নিদগ্ধ আলতাফকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ২৭ অক্টোবর তাঁর মৃত্যু হয়। ফিরোজা বিবি চিকিৎসা চলাকালীন বৃহস্পতিবার বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে মারা যান।
|
স্ত্রীকে কুপিয়ে স্বামী গ্রেফতার |
মদ্যপান প্রায় নিয়মিত ব্যাপার ছিল। পড়শিরা জানতেন, বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করার ঘটনাও নতুন নয় মধুসূদন মোদকের। কিন্তু তা যে এমন ভয়ঙ্কর চেহারা নেবে, ভাবতে পারেননি কেউই। শুক্রবার বাড়ি ফিরে তার ধারাল অস্ত্রের বেপরোয়া কোপে গুরুতর জখম হয়েছেন মধুসূদনের স্ত্রী সাথী। কৃষ্ণনগরের চকেরপাড়ার ওই মহিলাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ছেলে তন্ময়ও। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে সাথীদেবী ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়েছিল। আর তার শাস্তিই দা-এর কোপ। ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই মদ্যপকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
|
বাস দুর্ঘটনায় মৃত্য হল এক বৃদ্ধার। নাম সোনাভানু বেওয়া (৬০)। বাড়ি নদিয়ার নাকাশিপাড়ার বিলকুমারি গ্রামে। শুক্রবার সকালে হরনগর বাসস্ট্যান্ডে একটি বাস তাঁকে ধাক্কা মারে। তিনি সেখানে ভিক্ষা করতেন।
|
দমকলে নিয়োগ স্থগিত নদিয়ায় |
নদিয়া জেলায় দমকল কর্মী নিয়োগের নতুন পরীক্ষা স্থগিত করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তী বলেন, এ বিষয়ে হওয়া মামলা শেষ হওয়ার আগে পরীক্ষা বা নিয়োগ করা যাবে না। কয়েক মাস আগে ৭৫টি দমকল কর্মীর পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেন নদিয়ার জেলাশাসক। আবেদনকারীদের লিখিত পরীক্ষা নিয়ে জেলাশাসক ৭৫ জনের নামের তালিকা তৈরি করে অনুমোদনের জন্য রাজ্যের অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরে পাঠান। এ দিকে তৃণমূল বিধায়ক কল্লোল খাঁ দমকল মন্ত্রী জাভেদ খানকে চিঠি লিখে জানান, জেলাশাসকের তৈরি তালিকায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। ওই তালিকা খারিজ করা হোক। দমকল মন্ত্রী বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন দফতরের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি)-কে। ওই অফিসার তালিকা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নিতে বলেন জেলাশাসককে। সেই মতো জেলাশাসক তালিকা বাতিল করে নতুন পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। তখন তালিকায় নাম থাকা কয়েক জন হাইকোর্টে মামলা করেন।
|