উত্তর কলকাতা
সুইমিং পুল
স্তব্ধ নির্মাণ
কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল এক বছর আগে। কিন্তু এখনও হয়নি। কবে শেষ হবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ, অর্থাভাব। এ ছবি উত্তর কলকাতার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধু পার্কের নির্মীয়মাণ সুইমিং পুলের।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “দু’বছর আগে রাজ্য সরকার, পুরসভা এবং স্থানীয় বিধায়কের উদ্যোগে দেশবন্ধু পার্কে একটি আধুনিক মানের সুইমিং পুল তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। গত বছরেই কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিছু কাজ এগোলেও অর্থাভাবে কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সঙ্গেও আলোচনা করব।”
অনেক দিন আগেই উত্তর কলকাতায় একটি উন্নতমানের সুইমিং পুল তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু এই প্রকল্পের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা এবং অর্থ না থাকায় কাজ শুরু করা যায়নি। পরবর্তীকালে স্থানীয় বিধায়ক সাধন পাণ্ডের উদ্যোগে দেশবন্ধু পার্কে কাজ শুরু হয়। পুরসভা সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের জন্যে ২০১০-এ ৬ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। এর মধ্যে রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতর তিন কোটি টাকা, কেন্দ্র দু’কোটি টাকা, কেএমডিএ ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল। বাকি অর্থ আসার কথা কলকাতা পুরসভা এবং স্থানীয় বিধায়ক তহবিল থেকে। দরপত্র ডেকে একটি ঠিকাদারি সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়।
স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের স্মরজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “সময়মতো কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। অর্থাভাবেই কাজ আটকে রয়েছে। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব দফতরকেই জানিয়েছি।” দেশবন্ধু পার্কের পুকুরে সাঁতার প্রশিক্ষণের জন্যে পাঁচটি উন্নতমানের সুইমিং পুল করার কথা। একটি পুল দৈর্ঘ্যে ৫০ মিটার, প্রস্থে ২৫ মিটার হবে। আর একটির দৈর্ঘ্য ২৫ মিটার, প্রস্থ হবে ১৫ মিটার। বাকি তিনটি পুল দৈর্ঘ্যে ১৫ মিটার, প্রস্থে ১০ মিটার করে হবে। পুলের পাশেই ছোট কয়েকটি ঘরে অফিস এবং ড্রেসিংরুম হবে। পরে এখানে একটি গ্যালারি তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। মাঠের মধ্যে গ্যালারি নির্মাণ নিয়ে সবুজ ধ্বংসের প্রশ্ন উঠেছিল।
যদিও পুরকর্তৃপক্ষ জানান, এই ব্যাপারে পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র মিলেছে। তা ছাড়া সুইমিং পুল নির্মাণের সময় সমস্ত নিয়মই মানা হয়েছে বলে পুরকর্তৃপক্ষের দাবি।
স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী সাধন পাণ্ডে বলেন, “এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছি। পুরসভার বাজেটে এই প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা আছে। তা পেলে কোনও সমস্যা থাকবে না। আমি এই ব্যাপারে পুরকর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসব। ঠিকাদারি সংস্থাকে পুরসভার কাছে দ্রুত বিল জমা দিতে বলেছি। প্রয়োজনে বাড়তি অর্থ যোগাড়ের চেষ্টা করব।” কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই প্রকল্পটি ঠিক কী অবস্থায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।”

ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.