|
|
|
|
|
|
খেলা |
শূন্য হাতে |
চন্দন রুদ্র |
আবারও হাওড়ার ঝুলি শূন্য। এ বারের হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট ওপেন টেবল টেনিস প্রতিযোগিতার সিংহভাগ সাফল্যই পেল হুগলি। চারটি বিভাগে লড়াইয়ে নেমে তিনটিতেই জয় পায় হুগলি। কোনও বিভাগেই চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না হাওড়া।
হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, দক্ষিণ কলকাতা, মধ্য কলকাতা, পূর্ব কলকাতা-সহ নয়টি জেলার ২৬০ জন প্রতিযোগী ১০টি বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন। বালি অ্যাথলেটিক ক্লাবে সাব জুনিয়র এবং বালিকা বিভাগের সেমি-ফাইনালে হেরে যাওয়ার পরে মহিলা বিভাগের ফাইনালে উঠে প্রত্যাশা জাগিয়েছিল শাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী হাওড়ার শ্রেয়সী হাজরা। টেবল টেনিস শেখে হাওড়া স্পোর্টিং ক্লাবে। কিন্তু ফাইনালে সে হেরে যায় কোন্নগরের অনিশা নন্দীর কাছে। সাব জুনিয়র সেমি ফাইনালেও এই অনিশার কাছেই হারতে হয়েছিল শ্রেয়সীকে। |
|
লড়াই শক্ত ছিল। কিন্তু পুরুষ বিভাগের ফাইনালে নেমে জয় তুলে নেয় কোন্নগরের সোহম ভট্টাচার্য। দক্ষিণ কলকাতার সুমিতকুমার দাসকে হারায় হিন্দমোটর হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণির এই ছাত্রটি। অনুশীলন করে কোন্নগর মিলন সঙ্ঘে। বালক বিভাগের ফাইনালে চন্দননগরের শোভন কোলের কাছে হেরে গেলেও পুরুষ বিভাগের মতো সাব জুনিয়র এবং ক্যাডেট বিভাগে খেতাব জিতে নেয় সোহম।
সোহমের মতো ত্রিমুকুট জয় করে নজর কেড়েছে হুগলির কোন্নগর মিলন সঙ্ঘের বিশ্বরূপা গুপ্ত। হীরালাল পাল বালিকা বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী বিশ্বরূপা নার্সারি, ক্যাডেট বিভাগের পরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বালিকা বিভাগে। কোন্নগর হিন্দু গার্লসের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী অনিশা নন্দী মহিলা বিভাগের সঙ্গে সাব জুনিয়র বিভাগেও সোনা জিতেছে। দশটি বিভাগের মধ্যে নয়টি বিভাগেরই চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সের খেতাব জিতে নিয়েছে হুগলির খেলোয়াড়রা। |
|
প্রতিযোগিতায় সেরা সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়ের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় সোহমের হাতে। পুরস্কার তুলে দিতে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোপীনাথ ঘোষ, বালি অ্যাথলেটিক ক্লাবের সভাপতি দিলীপ ঘোষ, হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিমাই দত্ত প্রমুখ। জেলা টেবল টেনিসের সম্পাদক সিদ্ধার্থ ঘোষ বললেন, “রাজ্য টেবল টেনিসে বহু দিনের সাংগঠনিক সমস্যা দূর করার চেষ্টা চলছে। নতুন নতুন খেলোয়াড় তুলে আনতে আমরা এ বার টেবল টেনিসকে বালি, উলুবেড়িয়া, বাগনানের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছি।”
|
ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার |
|
|
|
|
|