টুকরো খবর |
চাঁদড়া দাপাল হাতির দল
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
হাতির দল বুধবার দাপিয়ে বেড়াল চাঁদড়ায়। আমঝরনা, ভাদুলিয়া, হেতাশোল প্রভৃতি এলাকা ঘুরে দলটি মণিদহের এনায়েতপুরের দিকে আসতে শুরু করেছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। সন্ধের দিকে দলটি মেদিনীপুর সদর ব্লকের মণিদহ অঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় ঢুকে পড়ে। দিনভর এই দাপাদাপির ফলে নষ্ট হয়েছে বেশ কিছু জমির ফসল। দলমা থেকে আসা হাতির দল জেলায় এসে প্রতি বছরই ফসল নষ্ট করে। এখন যে দলটি লালগড় পেরিয়ে সদর ব্লকে ঢুকেছে, সেখানে ১৩০টি থেকে ১৪০টি হাতি রয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। দলমার এই দলটি গত ১৭ অক্টোবর বিকেলে বাঁকুড়ার বাঁকাদহ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার উপরজবা-শ্যামনগর এলাকায় ঢুকে পড়ে। সেই শুরু। এরপর থেকে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি চলছেই। গত এক সপ্তাহে গোয়ালতোড়ের আমলাগোড়া, হুমগড়-সহ বেশ কিছু এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। পরে কাঁটাপাহাড়িতে আসে। |
|
দামাল হাতির দল। চাঁদড়া রেঞ্জের হেতাশোলের জঙ্গলে সৌমেশ্বর মণ্ডলের তোলা ছবি। |
সেখান থেকে লালগড় রেঞ্জের ভাউদি বিটের অন্তর্গত তালডাঙা। এক সময় বন দফতরের আধিকারিকেরা মনে করেছিলেন, দলটি ঝাড়গ্রামের মালাবতীর জঙ্গলের দিকে যেতে পারে। তবে গতিবিধি দেখে বন দফতরের আধিকারিকদের অনুমান, দলটি এ বার কাঁসাই নদী পেরিয়ে খড়্গপুরের দিকে যেতে পারে। খড়্গপুরের কলাইকুণ্ডা রেঞ্জ এলাকার উপর দিয়ে নয়াগ্রামের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বুধবার সন্ধ্যায় যেখানে দলটি ছিল, সেখান থেকে মেদিনীপুর শহরের দূরত্ব প্রায় বারো কিলোমিটার। তবে দলটির শহরের কাছাকাছি আসার সম্ভাবনা নেই বলেই জানান বন দফতরের আধিকারিকেরা। তাঁদের বক্তব্য, উদ্বেগের কিছু নেই। গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় হাতি তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। দলটির গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়েছে।
|
‘বন্যপ্রাণ সপ্তাহ’ পালনে নানা অনুষ্ঠান নালিকুলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • নালিকুল |
সম্প্রতি নালিকুলের পশুপ্রেমী সংগঠন ‘শিমুলতলা কনজার্ভেশনিস্ট’-এর উদ্যোগে ‘বন্যপ্রাণ সপ্তাহ’ পালিত হল নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে। ওই উপলক্ষে দু’দিনের একটি অনুষ্ঠানও হয় নালিকুলের একটি সেবা প্রতিষ্ঠান ভবনে। প্রথম দিন অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বৃক্ষরোপণ এবং প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণ বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনের মাধ্যমে। ছিল বসে আঁকো এবং ক্যুইজ প্রতিযোগিতা। সংগঠনের পত্রিকা ‘সবুজ ফিরে এসো’-র দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশিত হয়। সাপে কাটা এবং তার প্রতিকার নিয়ে ছিল আলোচনাচক্র। প্রদর্শিত হয় তথ্যচিত্র। |
|
বালির তৈরি ভাস্কর্যে, সাপের আহার।—নিজস্ব চিত্র। |
প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করেন সাহিত্যিক সুরঞ্জন প্রামাণিক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অগ্নিশ্বর চক্রবর্তী এবং সমাজবিজ্ঞানী অশোক রায়। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ‘সবুজ ভারত গড়তে সমাজের ভূমিকা’ নিয়ে আলোচনাচক্র আয়োজিত হয়। সাপ সংরক্ষণ, পুনর্বাসন-সহ নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন বিশেষজ্ঞেরা। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক বেচারাম মান্না।
|
অবসরে দাঁড়ি পড়ল বিবাদে
নিজস্ব প্রতিবেদন |
শুরু করেছিলেন এক সঙ্গে। শেষটাও একই সঙ্গে, ঘটনাচক্রে একই দিনে। তবে তাঁদের সম্পর্কের ‘ক্ষত’ এখনও শুকোয়নি। অবসরের ক্ষণেও তাঁদের এক জন অভিমান আড়াল করছেন না। বলছেন, “আমার উপর যে অন্যায় হয়েছে তা জীবনে ভুলব না।” অন্য জনের ঈষৎ মৃদু স্বর, বলছেন, “সমস্যা তো আমি তৈরি করিনি।”মির্জা আসগর সুলতান এবং অতনু রাহা। বন দফতরের দুই শীর্ষ কর্তার অবসর ঘিরে বৃহস্পতিবার দফতর জুড়ে তাই একই সঙ্গে ‘স্বস্তি’ এবং ‘সম্ভ্রম’। বনমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন পর্বে দুই কর্তারই ‘বিরাগভাজন’ হিতেন বর্মনের গলায় স্পষ্ট ‘স্বস্তি’, “মাস কয়েক ধরে দুই কর্তার বিবাদের জেরে কম সমস্যা তো হয়নি!” তবে বন বিভাগের অনেকেই মনে করছেন, রাজ্যের বনপ্রাণ রক্ষায় দু-জনের অবদানই ‘মনে রাখার মতো।’ বাম আমলে অতনুবাবুই ছিলেন বন দফতরের শীর্ষকর্তা, ‘হেড অফ ফরেস্ট’। প্রতিবাদে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন ওই পদের অন্য দুই দাবিদার, সুলতান এবং সম্পত বিস্ত। ক্ষমতা বদল হতেই রাজ্য সরকার তড়িঘড়ি অতনুবাবুকে সরিয়ে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করে এম এ সুলতানকে। অতনুবাবু দ্বারস্থ হন সুপ্রিমকোর্টের। ইতিমধ্যে রাতারাতি রাজ্যের সমস্ত কাঠকল বন্ধ করার ফতোয়া জারি করে মন্ত্রীর সঙ্গে বিবাদে জড়ান সুলতান। ক্ষমতায় ফের অধিষ্ঠিত হন প্রায় ‘নির্বাসিত’ অতনুবাবু। কে সর্বোচ্চ, তা নিয়ে দিনের পর দিন চলতেই থাকে পারস্পরিক ‘চিমটি’।
সেই ‘বিবাদে’ এ বার দাঁড়ি পড়ল, এক দিনেই।
|
বয়স-ভারে কাবু হাতির স্বাস্থ্যপরীক্ষা |
তিন দিন আগেও টিয়ামারি থেকে ছিপড়া সর্বত্র ঘুরে বেড়িয়েছিল। দূর থেকে পাতা বয়ে এনেছিল। তার পরেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রায়ডাক বীটের ষাট বছর বয়সের কুনকি হাতি প্রমীলা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বনকর্তারা। ঠিকমতো চলাফেরা করছে না প্রমীলা। তার হজম শক্তি কমে গিয়েছে। সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকছে। রাতে ঘুমোচ্ছে না। প্রিয় হাতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় মুখভার মাহুত গুড়া মিঞ্জ ও পাতাওয়ালা মানিক চিকবড়াইকের। |
|
ছবি ও তথ্য রাজু সাহা। |
প্রমীলাকে সুস্থ করে তোলার জন্য দিনরাত সেবা করছেন তাঁরা। বন দফতরের দুই পশু চিকিৎসক দীপক শর্মা ও অশোক সিংহ প্রমীলার চিকিৎসা শুরু করেছেন। বুধবার বিকালে দীর্ঘ সময় ধরে প্রমীলার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, প্রমীলার বয়স হয়েছে। বার্ধক্যজনিত কারণে ওর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। লিভারে কিছু সমস্যা হয়েছে। দু’তিন দিনে প্রমীলা সুস্থ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তাঁরা।
|
বাগানে হাতির হানা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
ডুয়ার্সের মেটেলি এলাকার ইনডং চা বাগানে হাতির হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে চারটি হাতি বাগানের কারখানার কাছে এসে রেশন গুদাম ভেঙে দেয়। কয়েকটি শ্রমিক আবাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
|
শ্মশানে দূষণ নিয়ন্ত্রণ |
শহরের প্রতিটি শ্মশানেই কাঠের চুল্লিতে বসবে দূষণ নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্র। ফলে ধোঁয়া সর্বত্র ছড়াবে না। বুধবার কলকাতা পুরসভার এক বৈঠকে এ কথা জানান মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। ইতিমধ্যেই কাশীপুর মহাশ্মশানে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেখানে কাঠের চুল্লির উপরে ৪৪ ফুট উচ্চতার চিমনির সাহায্যে ধোঁয়া বার করার ব্যবস্থা হয়েছে। চিতার আগুন শবযাত্রীদের চোখে যাতে না পড়ে তাই চিতাগুলিকে আড়াল করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে সেখানে।
|
বিরল প্রজাতির তক্ষক উদ্ধার |
|
ছবিটি তুলেছেন শৌভিক দে। |
নিউ টাউন থেকে পাচার হওয়ার আগে বিরল প্রজাতির দু’টি তক্ষক উদ্ধার করল পুলিশ। এই প্রজাতির তক্ষকের নাম গোল্ডেন জেকো। পুলিশ জানায়, ওই তক্ষক দু’টির প্রত্যঙ্গ থেকে জীবনদায়ী ওষুধ তৈরি হয় বলে চোরা বাজারে এর দাম লক্ষাধিক টাকা। পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। |
|