নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
দেবতা ফিরে এসেছেন এমন অন্ধ বিশ্বাসে একটি অজগর সাপকে আটকে রেখে দেবজ্ঞানে পুজা করছিলেন মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার মানুষজন। গত কাল বিকালে সাপটিকে উদ্ধার করেন পিপ্ল ফর অ্যানিম্যাল বা পিএফএ-র সদস্যরা। পিএফএ সূত্রে খবর, গত শনিবার কুম্বি গ্রামের মানুষজন সেতুপুর এলাকার একটি ধানজমি থেকে ৮ ফুট লম্বা ওই ‘বর্মি রক পাইথন’টিকে ধরেন।
ভারতে প্রথম তফশিলভুক্ত ওই অজগরটিকে জমির মালিক বাড়িতে বেড়া দিয়ে রেখে দিয়েছিলেন। কিন্তু, খবর পেয়েই, কুম্বি গ্রাম ও আশপাশের গ্রাম থেকে গ্রামবাসীরা অজগর দেখতে হাজির হন। তাঁদের বিশ্বাস, এ নিজক সাপ নয়, দেবতার অবতার। কেউ আনেন ফল, কেউ মুরগি, কেউ নগদ টাকা। কার্যত তিনদিন ধরে অজগরটিকে ঘিরে চলছিল পুজো, মন্ত্রোচ্চারণ। মণিপুর বনদফতরের কর্মীরা খবর পেয়ে সাপটি উদ্ধার করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু, ভক্তদের প্রবল বিরোধিতায় তাঁরা ফিরে আসেন। খবর যায় মানেকা গাঁধীর কাছে। |
উদ্ধারের পর আট ফুটের ‘বর্মি রক পাইথন’।—নিজস্ব চিত্র |
তিনি, স্থানীয় পিএফএ কর্মীদের ব্যবস্থা নিতে বলেন। পিএফএ কর্মীরা বিরাট পুলিশ ও কম্যান্ডোবাহিনী-সহ গ্রামে হাজির হন। সেখানে তখন সর্পযজ্ঞ চলছিল। দুই পক্ষে বিস্তর বাদানুবাদের পরে, সাপের গুরুত্ব বুঝে এবং পুলিশের সংখ্যা দেখে গ্রামবাসীরা অজগরকে মুক্তি দিতে রাজি হন।
শেষ অবধি, বিদায়ী যজ্ঞের পরে সাপটিকে পিএফএর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সাপ নিয়ে রওনা হয় গাড়ি, পিছনে অশ্রুসজল চোখে মন্ত্র পড়তে পড়তে হাঁটতে থাকেন গ্রামবাসীরা। পিএফএর পক্ষে বিশ্বজিৎ জানান, অজগরটিকে আপাতত থৌবালে পশু উদ্ধার কেন্দ্রে দুই দিন রাখা হবে। তারপর তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে জঙ্গলে।
অন্য দিকে, মণিপুর-মায়ানমার সীমান্তের মোরে থেকে পাঁচটি টোকে গেকো উদ্ধার করে আসাম রাইফেল্স। ধরা পড়ে দুই ব্যক্তি। ধৃতরা জানিয়েছে চিনে পাচারের জন্য গেকোগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এক একটি গেকোর দাম ৩০-৪০ হাজার টাকা। |