টুকরো খবর
ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে ধুবুরি শহর
ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে ধুবুরি। গত ২৪ ঘন্টায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটায় বুধবার সকাল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা কার্ফু শিথিল করে জেলাপ্রশাসন। এক সপ্তাহ বাদে কার্ফু শিথিল করার পরেই এ দিন বাজারে কেনাকাটা করতে লোকজন ভিড় জমায়। শহরের রাস্তায় যানবাহন চলাচল করেছে। কার্ফু শিথিলের সময় সীমা পার হতেই রাস্তায় পুলিশ, সিআরপিএফ’এর টহলদারি শুরু হয়। মাইকিং করে রাস্তাঘাট থেকে বাসিন্দাদের ঘরে চলে যেতে বলা হয়। রাস্তাঘাট ফের ফাঁকা হয়ে যায়। দুর্গাপুজোর বিসর্জনের পর থেকেই এই পরিস্থিতির জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গোলমালের ঘটনায় গত ২৩ জুলাই থেকে কার্ফুর কবলে রয়েছে ধুবুরি। তার পরে গত ৮ সেপ্টেম্বর শহরে অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে মহালয়া পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকে। বাসিন্দাদের সমস্যার কথা ভেবে মাঝে মধ্যে অবশ্য কার্ফু শিথিলও করেছে প্রশাসন। পুজোর দিনগুলিতে কার্ফু শিথিল করার কথা ঠিক হলেও নবমীর দিন রাতে এক ব্যক্তি দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হলে ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বন্ধ হয়ে যায় প্রতিমা বিসর্জন। পরের দিন বিসর্জনের শেষে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ২৫ সেপ্টেম্বর রাত থেকে ফের কার্ফু জারি করে জেলাপ্রশাসন। ধুবুরির পুলিশ সুপার প্রদীপ শালৈ বলেন, “নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”

ভিসার মেয়াদ শেষ, ধৃত পাক নাগরিক
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারতে থাকার অপরাধে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বিহারের অরওয়াল জেলার পুলিশ। সৈয়দ নকী আলম নামে ৩৮ বছরের ওই পাক বাসিন্দাকে আজ সকালে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হলে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে অরওয়াল জেলার শাহি এলাকায়। পুলিশ জানায়, আলম গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর বাবা-মায়ের কাছে এসেছিলেন। তাঁর ভিসায় ভারতবাসের মেয়াদ ছিল এক মাসের। আট মাস কেটে গেলেও ওই ব্যক্তি বিহারেই থাকছিলেন। ফলে পুলিশ তাঁকে আজ সকালে গ্রেফতার করে। জেলার পুলিশ সুপার বিমল কুমার বলেন, “ওই ব্যক্তির ১৪ দিনের জেল হয়েছে। তাঁর ধারণা ছিল ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যাবে। তার জন্য চেষ্টাও করেছিলেন আলম। কিন্তু তা মেলেনি।” ওই পাক নাগরিকের বিরুদ্ধে অবশ্য অন্য কোনও অভিযোগ নেই বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।

সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু শিলচরে
দক্ষিণ অসমের প্রথম সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প কাজ শুরু করল। চলতি মাসেই ১০০ কিলোওয়াটের এই প্রকল্প চালু করেছে শিলচর এনআইটি। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আট এনআইটি-র মধ্যে এই প্রথম কোথাও সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হল। শিলচর এনআইটির ডিরেক্টর এন ভি দেশপাণ্ডে জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁদের অ্যাকাডেমিক ব্লকে বিদ্যুতের পুরো চাহিদা মিটে যাবে। এর পর ২০০ খুঁটিতে সৌর বিদ্যুৎ জ্বালিয়ে আলোকিত করে তোলা হবে পুরো এনআইটি চত্বর। ১১টি ছাত্রাবাসে গরম জলের ব্যবস্থাও হবে এতে। দেশপাণ্ডের মূল লক্ষ্য, এক বছরের মধ্যে এক মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন। এতে এনআইটির চাহিদা যতটাই মিটুক, তাঁর ইচ্ছে দক্ষিণ অসমের প্রতিটি জেলাশাসকের কার্যালয়ে একটি করে ১০০ কিলোওয়াটের প্রকল্প তৈরি করবেন। একটি প্রকল্প হবে বিএসএফের মাসিমপুর সদর দফতরেও। এ ছাড়া শিলচর এনআইটি সংলগ্ন যে দু’টি গ্রামের দেখভালের দায়িত্ব তাঁরা নিয়েছেন, সৌর বিদ্যুৎ দেওয়া হবে সেই সব গ্রামেও। তাঁর কথায়, এ ধরনের প্রকল্পে অর্থ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কেন্দ্রীয় সরকার এ জন্য ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার প্রকল্পের ৯০ শতাংশ খরচই বহন করছে। ১০ শতাংশ দিচ্ছে শিলচর এনআইটি। তবে পরবর্তী প্রকল্পগুলির জন্য তাড়াহুড়ো করতে রাজি নন তিনি। তাঁর কথায়, “এক মাস দেখব, প্রথম প্রকল্পটি কেমন চলছে। এর পর যে যে জায়গায় প্রকল্প বসবে, সেখানকার লোকেদের এনআইটিতে এনে প্রশিক্ষণ দেব। এর পরই হবে নতুন প্রকল্পগুলি।”

ফিরে গেলেন শরণার্থীর দল
অসমে গোষ্ঠী সংঘর্ষের শামুকতলার মোমিনপাড়া, ফালাকাটা, মাদারিহাটে শিবিরগুলিতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীরা অসমে ফিরে গেলেন। ওই তিনটি শিবিরে হাজার দুয়েক শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছিল। এক হাজারের বেশি বাসিন্দা আগেই অসমের শিবির গুলিতে চলে যান। বাকি এক হাজার শরণার্থী মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সারাদিন ধরে দফায় দফায় অসমে ফিরে যান। আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক অমলকান্তি রায় জানান, অসমের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর শরণার্থীরা অসমে ফিরে যেতে চাইছিলেন। তাঁদের অসমে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের নিম্ন অসমের বিভিন্ন শিবিরে রাখার ব্যবস্থা করেছে। অসম প্রশাসন কয়েকদিনের মধ্যে তাঁদের নিজেদের বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে।

গুলির লড়াইয়ে নিহত তিন নাগা জঙ্গি
দুই নাগা জঙ্গি গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ে তিন জঙ্গির প্রাণ গেল। ঘটনাটি ঘটেছে মণিপুরের তামেংলংয়ে। পুলিশ জানায়, গত কাল সন্ধ্যা অবধি প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় এনএসসিএন (আই-এম) ও জেলিয়াংগ্রং ইউনাইটেড ফ্রন্ট (জেডইউএফ)-এর মধ্যে গুলির লড়াই চলে। লড়াইতে জড়িয়ে পড়ে আসাম রাইফেল্সও। পাওয়ার হাউস কলোনিতে শুরু হওয়া এই লড়াই তামেংলং সদরে শেষ হয়। জেডইউএফ-এর দুই সদস্য আই-এম বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারায়। আই-এম বাহিনীর এক সদস্য আসাম রাইফেল্সএর গুলিতে মারা গিয়েছে বলে জানায় পুলিশ। আই-এম জঙ্গিরা তামেংলং-এর জেলাশাসক ও এসপিকেও হুমকি দেয়। জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রী গাইখংবাম, তামেংলং থেকে নাগা জঙ্গিদের বিতাড়িত করার জন্য সেনাবাহিনীর ৫৭ মাউন্টেন ডিভিশনকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

বাস দুর্ঘটনা
বাস দুর্ঘটনায় মারা গেলেন পাঁচ যাত্রী। আহত ১৭। বুধবার শহর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে বেঙ্গালুরু-পুণে এক্সপ্রেস হাইওয়েতে বাঙ্কাপুরার কাছে ওই বাসটি একটি মালবোঝাই লরিকে ধাক্কা মারে।

অপহৃতার সন্ধান
বছর কুড়ির এক অপহৃত মহিলাকে সাহারানপুরের তালহারি গ্রাম থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলার নাম গৌরী ভোঁসলে। তিনি হিরে ব্যবসায়ী ডেভিড ভোঁসলের মেয়ে। তিনি সপ্তাহ দুয়েক আগে অপহৃত হন।

১৫ লক্ষ টাকা লুঠ
বিহারে ভাগলপুর জেলার পুরানি সরাই এলাকায় আজ সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা দুই ব্যাঙ্ককর্মীর কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা লুঠ করে চম্পট দেয়। সিনিয়র পুলিশ সুপার কে এস অনুপম জানান, ইউকো ব্যাঙ্কের কর্মী অবিনাশ রঞ্জন ও ব্যাঙ্কের এক রক্ষী একটি ব্যাগে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে একটি অটো রিকশায় যাচ্ছিলেন। পথের মাঝে একটি গাড়িতে চেপে আসা দুষ্কৃতীরা বন্দুক দেখিয়ে অটোটি থামায়। তারপর টাকা ভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে বেরিয়ে যায়। পুলিশ সুপার এই ঘটনার জন্য ব্যাঙ্ক কর্মীদেরই দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি, ব্যাঙ্কগুলিকে বলা আছে মোটা টাকা নিয়ে যাতায়াত করতে হলে সেই কথা পুলিশকে আগেভাগে জানিয়ে রাখতে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই নির্দেশ অমান্য করা হয়। আর তারই সুযোগ নিয়েছে দুষ্কৃতীরা।

ডাইনি অপবাদে নাক কাটা গেল
ডাইনি অপবাদ থেকে রেহাই মিলল না মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যেরও। বিহারের খগারিয়া জেলায় গত কাল পাঁচ ব্যক্তি কেনজারি পঞ্চায়েতের ওই মহিলা সদস্যের নাক কেটে দেয় ধারালো অস্ত্র চালিয়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলাকে বেলদার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় জড়িত পাঁচ ব্যক্তির খোঁজ চালানো হচ্ছে। মহিলার দায়ের করা অভিযোগের সূত্রে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৫ জনের
ঝাড়খণ্ডে ধানবাদ শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে চাসনালা এলাকায় আজ সকালে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটল পাঁচজনের। গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন অন্তত আটজন। ডেপুটি পুলিশ সুপার চন্দন কুমার সিংহ জানান, মৃত ও আহতেরা সকলেই একটি টেম্পোর যাত্রী ছিলেন। পিছন দিক থেকে হঠাৎই এসে পড়ে একটি ডাম্পার। প্রথমে সেটি একটি বাসে ধাক্কা মারে, তারপর টেম্পোটিতে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে টেম্পোর পাঁচ আরোহীর। আহতদের ধানবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শেষ পাত
যাত্রিবাহী বাসে বাজানো যাবে না কোনও অশ্লীল গান। পঞ্জাব সরকার এই নির্দেশ জারি করেছে বুধবার। নির্দেশ অমান্য করলে কড়া শাস্তিও পেতে হবে বলে জানিয়েছে সরকার।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.