লক্ষ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন
নিজ গৃহ, নিজ ভূমি প্রকল্পে গতি চায় রাজ্য
ঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের অন্তত পঞ্চাশ হাজার ভূমিহীন, গৃহহীন পরিবারকে ‘নিজ গৃহ, নিজ ভূমি’ প্রকল্পের আওতায় আনতে চাইছে রাজ্য সরকার।
বাম আমলে চালু করা ‘চাষ ও বসবাসের জন্য ভূমিদান প্রকল্প’ সংশোধন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ‘নিজ গৃহ, নিজ ভূমি’ প্রকল্পের সূচনা করে গত বছরের অক্টোবর মাসে। সরকারি হিসেব মতো, এ পর্যন্ত রাজ্যে সাড়ে ১১ হাজার গৃহহীন পরিবারকে নতুন ওই প্রকল্পে জমি দেওয়া হয়েছে।
এই কাজে সরকারি খাস জমি নেওয়া হয়েছে ২৭০ একর। বাকি ১৫০ একর জমি বাজার দরে কিনে গৃহহীনদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে। সারা রাজ্যে এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা এক লক্ষ ১৫ হাজার।
পাঁচ বছরে পাঁচ লক্ষের বেশি পরিবারকে যে প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার কথা, তার প্রথম বছরে মাত্র সাড়ে ১১ হাজার পরিবারকে জমির পাট্টা দেওয়াটা কি লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পক্ষে সহায়ক?
জবাবে রাজ্য প্রশাসনের এক মুখপাত্র বলেছেন, প্রকৃত গৃহহীনদের চিহ্নিতকরণ, সমস্ত সরকারি নিয়ম মেনে বাজার দরে প্রয়োজনীয় জমি কেনার প্রশাসনিক পরিকাঠামো তৈরি এবং এক লপ্তে যে জমি নেওয়া হচ্ছে, সেই জমিতে উঠে যাওয়ার ব্যাপারে গৃহহীন পরিবারগুলির মতামত নেওয়া, প্রভৃতি কারণে গোড়ায় বাড়তি সময় লেগেছে। গৃহহীন পরিবারগুলির অধিকাংশেরই জীবিকা নির্বাহ হয় খেতমজুরের কাজ করে বা সাইকেল রিকশা-ভ্যান রিকশা চালিয়ে। নিজেদের এলাকা থেকে খুব দূরে জমি পেলে তাঁদের অসুবিধা হবে। এখন এই পদ্ধতিগত বিষয়গুলি সড়গড় হয়ে যাওয়ার পর প্রকল্প রূপায়ণ গতি পাবে বলে প্রশাসনের আশা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে প্রকল্পের কাজ আরও দ্রুততার সঙ্গে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নভেম্বর মাসের কোনও এক দিন রাজ্যের সমস্ত জেলায় একই সঙ্গে, একই সময়ে বেশ বড়সড় সংখ্যায় গৃহহীন মানুষের মধ্যে জমির পাট্টা বিলি করার কথা ভাবা হচ্ছে। সেই দিন রাজ্যের কোনও একটি জেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও হাজির থাকতে পারেন। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত, ভূমি, কৃষি, সংখ্যালঘু উন্নয়ন, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রতিটি জেলা সফরের সময় প্রশাসনিক বৈঠকের প্রথমেই মমতা ‘নিজ গৃহ, নিজ ভূমি’ প্রকল্পে কাজের অগ্রগতির খোঁজ নিচ্ছেন এবং সেই জেলায় প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে বেশ কিছু গৃহহীন পরিবারকে নিজের হাতে জমির পাট্টা তুলে দিচ্ছেন।
অবশ্য শুধু জমি দেওয়াই নয়। রাজ্যের সংখ্যালঘু এবং বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া শ্রেণির গৃহহীনদের জমি বিলি করে ইন্দিরা আবাস যোজনা মারফত বাড়ি তৈরির অর্থও জোগাতে পারলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছে সরকার।
রাজ্যের মাওবাদী-প্রভাবিত তিন জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার তফসিলি জাতি-উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মানুষকে ওই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার কাজে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
ঠিক একই ভাবে উত্তরবঙ্গের চা-বাগিচাগুলির অস্থায়ী শ্রমিকদের ‘নিজ গৃহ, নিজ ভূমি’ প্রকল্পের আওতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে জোর কদমে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.