দেশের কোনও দল নেই। ফলে রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল নিয়েও ভারতীয়দের কারও কোনও আগ্রহও নেই। বরং ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সিরিজেই এখন বেশি আগ্রহ। সোমবার ইংল্যান্ড দল ভারতে চলে এলে এই আগ্রহ আরও বাড়বে। মঙ্গলবার থেকে আবার তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ তাদের। কেমন প্রস্তুতি নেয় পিটারসেন, কুকরা, তা নিয়ে আগ্রহ তো থাকবেই।
কেভিন পিটারসেনকে নিয়ে প্রচুর বিতর্কের পর আপাতত ইংল্যান্ড শিবির স্বস্তিতে। কী দরকার ছিল এমন বিতর্কের, সেটাও অবশ্য বোধগম্য হয়নি আমার। সবাই যথেষ্ট পরিণত মস্তিষ্কের। নিজেরাই মিটিয়ে নিতে পারত সব কিছু। যে বিষয়টা সহজেই নিজেদের মধ্যে কথা বলে মিটিয়ে নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে এত বিতর্কের প্রয়োজনই বা কী? ওই সময়ে শ্রীলঙ্কায় বেশ কিছু দিন কেপি-র সঙ্গে কাটিয়েছি বলেই জানি, ও কতটা ভেঙে পড়েছিল। যাই হোক, সব কিছু ভালয় ভালয় মিটে গিয়েছে, এতে ইংল্যান্ড দলেরই ভাল হবে। এমনিতেই ওদের অ্যান্ড্রু স্ট্রস নেই। তার ওপর ভারতের মতো কঠিন সফরে কেপি-র মতো ব্যাটসম্যানকে না নিয়ে এলে তার চেয়ে বড় বোকামি আর কিছু হত না। ওদের এমনই অবস্থা যে, এই পরিবেশে দু’জন আনকোরা ক্রিকেটারকে নিয়ে আসতে হচ্ছে। এটাও হজম করা বেশ কঠিন। |
টেস্ট শুরুর প্রায় দু’সপ্তাহ আগে কুকদের ভারতে এসে একাধিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্তটা কিন্তু খুবই ভাল। সম্পুর্ণ অচেনা পরিবেশ ও আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার এর চেয়ে ভাল উপায় আর কিছু নেই। গতিময় ও বাউন্সি পিচে ইংল্যান্ড অনবদ্য ঠিকই, কিন্তু ঘূর্ণি পিচে ওরা মোটেই স্বচ্ছন্দ বোধ করে না। দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে পারফম্যান্স দেখিয়েছে ওরা, তার চেয়ে ভাল না করলে ভারতকে চাপে ফেলা ওদের পক্ষে মুশকিল হবে। ইদানীং দেখা যাচ্ছে, ঘরের মাঠে অনেক দল ভাল খেললেও বিদেশের ছবিটা ঠিক উল্টো। স্টিভ ওয়, রিকি পন্টিংদের সময়ে অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অবশ্য এই রোগটা ছিল না। গত দশ বছরে কিছুটা হলেও ভারতীয় দলও কিন্তু দেশে ও বিদেশে সমান ফর্ম দেখিয়েছে। কিন্তু গত দেড় বছরে সেই ধারাবাহিকতা একেবারেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্টিভের নেতৃত্বে যেমন অস্ট্রেলিয়া দলটা ভারতে এসে এখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করত, তেমনই আমাদের দলের ক্রিকেটাদেরও সেই চেষ্টা করতে দেখেছি। ইংল্যান্ডকেও সেই পদ্ধতিই অবলম্বন করতে হবে। ওদের বহু নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটারকে হতাশার জ্বালায় সফরের মাঝখানে দেশে ফিরে যেতে দেখেছি। তাই শুধু বড় রান করাটাই কুকের একমাত্র চ্যালেঞ্জ নয়, দীর্ঘ সফরে ক্রিকেটারদের মানসিক ভাবে চাঙ্গা রাখাটাও তাঁর বড় কাজ।
আহমেদাবাদ ও মুম্বইয়ে যেহেতু প্রথম দুই টেস্ট, তাই প্রস্তুতি ম্যাচগুলো এই অঞ্চলের লাল মাটিতে খেলে ভালই করছে কুকরা। তার ওপর ওদের দু’জন ভাল স্পিনার রয়েছে। ভারতের উইকেট ও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে ওরা বিপজ্জনক হয়ে উঠতেও পারে। |