রঞ্জিতে সহবাগ-গম্ভীররাও
কুকদের হুমকিই দিলেন কোহলি
ত দিন না ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হেনস্থা করছেন, তত দিন সে দেশে গিয়ে টেস্ট সিরিজে ০-৪ হারের সেই ঘা শুকানোর প্রশ্নই নেই। সে জন্যই ঘরের মাঠে ঘূর্ণি পিচ চেয়েছেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তা তাঁরা পাবেন কি না, পরের প্রশ্ন। তবে অধিনায়কের এই দাবি যে পুরোপুরিই ন্যায্য, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই ভারতীয় দলের তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির। তাঁর বক্তব্য, ইংল্যান্ড নিজেদের দেশে তাঁদের সঙ্গে যেমন করেছিল, এ বার সেটাই ফেরত দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।
ব্যাট হাতে নেমে যেমন মারমুখী মেজাজে দেখা যায় তাঁকে, আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়েও প্রায় সে রকমই মেজাজে বিরাট। বললেন, “ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের প্র্যাক্টিস ম্যাচে পাটা উইকেট দেওয়া হয়েছিল। তার পর যখন টেস্ট খেলতে নামলাম, তখন গ্রিন-টপ দেওয়া হল।” ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার কর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, “ওদের মনোভাব যদি সত্যিই পরিচ্ছন্ন হত, তা হলে প্র্যাক্টিস ম্যাচেও টেস্টের মতোই উইকেট দিত। সবচেয়ে বড় কথা, ওরা জানত, আমাদের হাতে মোটেই বেশি সময় নেই। এ বার ওরা ঘূর্ণি উইকেটে খেলবে। বুঝতেই পারবে ওরা ঠিক কোন জায়গায় আছে।”
সিরিজ শুরুর আগে থেকেই অস্ট্রেলীয়রা যেমন যুদ্ধের বাতাবরণ তৈরি করে দেন, এ বার ভারতীয়রাও অনেকে সেই পথেই হাঁটছেন। বিরাট যেমন ইংরেজদের ওপর চাপ বাড়ানোর জন্য বলেই দিলেন, “কেভিন পিটারসেন এই সিরিজে প্রচণ্ড চাপে থাকবে।” কোহলির বক্তব্য, কেপি ভারতে অনেক বার খেলে গিয়েছেন, স্পিনটাও ভাল খেলতে পারেন। ফলে প্রত্যাশার চাপটা পিটারসেনের উপর ভীষণ ভাবে থাকবে। কেপি অবশ্য চাপ সামলানোর প্রস্তুতি নিতে দুবাইয়ে না গিয়ে লন্ডনে ফিরে গেলেন, সেখান থেকেই সোজা মুম্বইয়ে এসে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা সোমবার।
ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কোহলির পর্যবেক্ষণ, “বলতে পারেন ওদের সিনিয়র ব্যাটসম্যানরা এখানকার পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু আমার মনে হয়, ব্যাপারটা মোটেই সহজ হবে না। ভাবছেন, ওরা স্পিনারদের খুব পেটাবে। শেষ পর্যন্ত উল্টোটা না হয়। পাকিস্তানের একজন স্পিনারকেই (সইদ আজমল) সামলে উঠতে পারেনি ওরা।” কোহলির কথায় যেন হুমকিরই সুর।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা শর্ট পিচড বোলিংয়ের বিরুদ্ধে দুর্বল, এমন তত্ত্বও মানতে নারাজ কোহলি। তাঁর মতে, “সারা দুনিয়ায় কোনও ব্যাটসম্যানই বাউন্সারের বিরুদ্ধে স্বচ্ছন্দ নয়। কোনও ব্যাটসম্যান কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে আউট হলে তার সমালোচনা হয় না। অথচ শর্ট বলে আউট হলেই শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। একটা ভাল বাউন্সার তো ভাল বাউন্সারই।” ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে যেমন সচিন, জাহিররা তার প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন রঞ্জি ম্যাচে, তেমনই কোহলি, গম্ভীর, সহবাগরাও উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচ খেলছেন। এটা নিয়ে কোহলি বলেন, “টি টোয়েন্টি থেকে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে এই ম্যাচটাই সাহায্য করবে।”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.