মালিকপক্ষকে নিয়ে বিতর্ক নতুন করে উস্কে দেওয়া নয়। মন থাকছে শুধু রেসের ট্র্যাকে।
এঁরানিকো হুল্কেনবার্গ ও পল ডি’রেস্টা। রবিবার সহারা ফোর্স ইন্ডিয়ার হয়ে ট্র্যাকে আগুন ছোটাতে তৈরি। কিন্তু মালিকদের নিয়ে মুখ খুলতে নয়। |
তবে অবাক কাণ্ড, রেস ও রেসের গাড়ি নিয়ে ফোর্স ইন্ডিয়া মালিক বিজয় মাল্য যা বলছেন, তার ঠিক উল্টো সুর দুই চালকের গলায়। দল ‘গ্রিড-পজিশনের’ রেসে আজ ভাল ফল না করে ১২ নম্বরে শেষ করায় গাড়ির টায়ারকেই দুষেছেন মাল্য। কিন্তু সে সবে না ঢুকে হুল্কেনবার্গ ও ডি’রেস্টা দু’জনেই বলছেন, “টায়ার নয়, দায়ী আমরাই। আজ বেশ স্লো চালিয়েছি।” রবিবার অবশ্য ছবিটা পাল্টাতে মরিয়া তাঁরা। হুল্কেনবার্গ যেমন বলছেন, “আজ সারা রাত ভাবতে হবে, কী করলে কাল প্রথম দশে থাকতে পারব। ছয়ে বা সাতে শেষ করতে চাই।” আর ডি’রেস্টার কথায়, “শুধু ভাবলে চলবে না। করেও দেখাতে হবে।” তবে ‘হোম’ রেসেই মরসুমের সবচেয়ে খারাপ সময়ের ‘রেকর্ড’ করলেন ভারতীয় দলের দুই চালক। রবিবার হুল্কেনবার্গদের শুরু করতে হবে লোটাসের পেছন থেকে। আর বাকি চারটে রেসে ভাল সময় না করতে পারলে মরসুম শেষে প্রথম দশের মধ্যেও হয়তো থাকা হবে না। যা নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল নিকো-পল জুটি। কিন্তু শনিবার এই পরিণতি কেন? হুল্কেনবার্গের ব্যাখ্যা, “শুরু থেকেই বাকিদের চেয়ে গতিতে পিছিয়ে পড়েছিলাম। তবু আমি মনে করি, প্রথম দশটা দলের চেয়ে আমরা খুব পিছিয়ে নেই। মরসুমের শুরুতে আমাদের টার্গেট ছিল প্রথম পাঁচে থেকে মরসুম শেষ করা। এখনও চারটে রেস বাকি। প্রথম পাঁচে থাকতেও পারি।” বুদ্ধ সার্কিটে দিনটা ভাল গেল না ভারতীয় ড্রাইভার নারায়ণ কার্তিকেয়নেরও। গত বছর নয়ডায় ১৭ নম্বরে শেষ করেছিলেন। আর আজ রেস শেষ করলেন ২৩ নম্বরে (১.৩০.৫৯৩)। তাঁর দল হিসপেনিয়ার সতীর্থ ড্রাইভার পেদ্রো দে লা রোসার পিছনে থেকে। |