|
|
|
|
অপহরণকারীদের হাত থেকে পালাল যুবক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
বাঁচার কোনও আশা ছিল না করিমগঞ্জ জেলার বেতুবাড়ির আব্দুল হকের। কিন্তু আল্লা রাখলে মারবে কে? অপহরণকারীদের হাত থেকে পালিয়ে অক্ষতই ফিরলেন তিনি। তাঁকে লক্ষ্য করে এক অপহরণকারী পিছন থেকে গুলি চালালে বিদ্ধ হয় অপর এক অপহরণকারীই। গুরুতর আহত অবস্থায় সেই অপহরণকারীকে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রামকৃষ্ণনগরের সার্কল ইন্সপেক্টর মহরম আলি জানিয়েছেন, গত ১৯ অক্টোবর বেতুবাড়ি থেকেই অপহৃত হন আব্দুল। পরে অপহরণকারীরা আট লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। গত কাল সকালেও একপ্রস্থ দর কষাকষি চলে। পাঁচ লক্ষ টাকার কমে তাঁকে ছাড়া হবে না বলে অপহরণকারীরা সাফ জানিয়ে দেয়। অন্য দিকে, তাঁর বাড়ির লোকজন চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি ছিলেন। কিন্তু অপহরণকারীরা তা খারিজ করে তাঁকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
গত কাল রাতে ছয় বন্দুকধারী আব্দুলকে নিয়ে পাহাড়ি পথে এগিয়ে যাচ্ছিল। তাদের হাবভাবে আব্দুল বুঝতে পারেন, মুক্তিপণ না মেলায় তাকে খুন করা হবে। মরিয়া হয়েই বাঁচার জন্য শেষ একটা চেষ্টা করেন তিনি।
আচমকা বন্দুকধারীদের একজনকে ধাক্কা মেরে দৌড়তে থাকেন। পিছনে ছুটতে থাকে অপহরণকারীরাও। এর মধ্যে একজন তাঁকে লক্ষ করে গুলি চালায়। সরু পাহাড়ি রাস্তায় গুলি লাগে এক অপহরণকারীর পিঠে। গুলির শব্দে লোকজন বেরিয়ে এলে বিপদ বুঝে পাঁচ অপহরণকারী পালায়। গুলিবিদ্ধ যুবককে উদ্ধার করে তাঁরা করিমগঞ্জ হাসপাতালে পাঠায়। সে তখন গ্রামবাসীদের কাছে নিজেকে ‘অপহৃত’ বলে পরিচয় দেয়। অন্য দিকে, আব্দুল দৌড়তে দৌড়তে চলে আসেন রামকৃষ্ণনগর থানার কোনাগ্রামে। সেখান থেকে খবর পাঠায় বাড়িতে।
মহরম আলির কথায়, পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। আজ আব্দুলের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে এখনও নামধাম জানা যায়নি। তবে খাতায়পত্রে তাকে অপহরণকারী হিসেবেই গ্রেফতার করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|