|
|
|
|
তল্লাশি অভিযান দিল্লিতেও |
সস্ত্রীক ফেরার ফব-নেতাকে খুঁজছে পুলিশ |
অনির্বাণ রায় • জলপাইগুড়ি |
ফেরার গোবিন্দ রায়ের খোঁজে এ বার দিল্লিতেও হানা দিল পুলিশ। সম্প্রতি পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায়, দিল্লিতে গুরুদোয়ারা রোডে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির অফিসের পাশেই একটি বাড়িতে ফরওয়ার্ড ব্লকের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক গোবিন্দ বাবু ও তাঁর স্ত্রী রয়েছেন। তার ভিত্তিতেই দিল্লি পুলিশের একটি দল তল্লাশিতে নামে। গত ১৯ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টে গোবিন্দবাবুর আগাম জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে। গোবিন্দবাবুর তরফে আইনজীবী এখনই গোবিন্দবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার যাতে না করা হয় তার নির্দেশ চেয়েছিলেন আদালতের কাছে। সেই আবেদনও খারিজ হয়ে যাওয়ার পরে দ্রুত গোবিন্দবাবুকে গ্রেফতার করা হবে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে দলের জেলা সম্পাদক নিখোঁজ থাকায় ফরওয়ার্ড ব্লকের অন্দরেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা দলের সাংগঠনিক দিক থেকে অন্যতম গুরত্বপূর্ণ। সে কারণেই গোবিন্দ বাবুর পরিবর্তে দলের অন্য কাউকে জেলা সম্পাদকের দায়িত্বে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য কমিটি। সম্প্রতি দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাফিজ আলম সৈরানি এবিষয়ে জেলায় এসে দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর দলেরই আলিপুরদুয়ার সাংগঠনিক জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য গোবিন্দবাবু ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ার থানায় নথি জাল করে সরকারি আলু কেনার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই দম্পতির বিরুদ্ধে পাঁচটি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “কলকাতা হাইকোর্টে গোবিন্দবাবু ও তাঁর স্ত্রীর আগাম জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে। পুলিশ এই আবেদনের ওপর নজর রাখছিল। দুজনকেই গ্রেফতার করা হবে। তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তারা ভিন রাজ্যে গিয়ে আত্মগোপন করেছেন।” গোবিন্দবাবু কোথায় রয়েছেন? দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা তা বলতে পারেননি। জলপাইগুড়ি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের রাজ্য নেতা হাফিজ আলম সৈরানি এদিন বলেন, “আমি ছুটিতে বাড়ি এসেছি। গোবিন্দবাবু কোথায় রয়েছেন, আমি তা বলতে পারব না। দলের নির্দেশে দিন কয়েক আগে জলপাইগুড়ি গিয়ে নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা যা জানানোর সেটি দলের রাজ্য সম্পাদককে জানিয়েছি।” দলের রাজ্য নেতৃত্ব সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য জুড়েই দলের সম্মেলনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতে সুষ্ঠুভাবে সম্মেলন করতে নিখোঁজ গোবিন্দবাবুকে আপাতত দলের জেলা সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে দলের এক প্রবীণ নেতা জানান। শুক্রবার জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে থাকা গোবিন্দবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়েছে। |
|
|
|
|
|