|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
রঙিন না হইলে নিরর্থক |
বইপোকা |
সেই ব্যাঘ্রাচার্যের বৃহল্লাঙ্গুলটি তাহার বৈশিষ্ট্য হারাইয়া বসিয়া আছে ত্রিশ বৎসর ধরিয়া। ব্যাঘ্রাচার্যটি সত্যজিৎ রায়ের, নন্দলাল বসু তাঁহার খাতায় উহা আঁকিয়া দিয়াছিলেন। কেবল নন্দলাল বসুর আঁকা বলিয়া নহে, ব্যাঘ্রটি অন্য একটি কারণেও বিশিষ্ট। তাহার গাত্রবর্ণ সাধারণ ডোরাকাটা ব্যাঘ্রের ন্যায়, কিন্তু লাঙ্গুলটি কালো। কেন? যখন ছোট ছিলাম হইতে সত্যজিৎ রায়ের কলমেই সে কাহিনি শুনা যাউক: ‘নন্দলালবাবু সে খাতায় চার দিনে চারটে ছবি এঁকে দিয়েছিলেন আমায়। পেনসিলে গরু আর চিতাবাঘ, রঙ তুলি দিয়ে ভাল্লুক আর ডোরাকাটা বাঘ। বাঘটা এঁকে সব শেষে ল্যাজের ডগায় তুলির একটা ছোপ লাগিয়ে সেটা কালো করে দিলেন। ‘বললাম, ওখানটা কালো কেন?’ নন্দলালবাবু বললেন, ‘এই বাঘটা ভীষণ পেটুক। তাই ঢুকেছিল একটা বাড়ির রান্নাঘরে মাংস চুরি করে খেতে। তখনই ল্যাজের ডগাটা ঢুকে যায় জ্বলন্ত উনুনের ভেতর।’ কিন্তু চুরি করিয়া খাইবার সে বিশিষ্ট কালিমা বৃহল্লাঙ্গুলে আর বুঝা যাইবে না। আনন্দ পাবলিশার্সের যখন ছোট ছিলাম গ্রন্থে গত ত্রিশ বৎসর ধরিয়া চিত্রটি সাদা-কালোয় মুদ্রিত হইয়া আসিতেছে। গ্রন্থের সকল চিত্রই সাদা-কালো, তথাপি পরবর্তী সংস্করণে অন্তত ব্যাঘ্রাচার্যের চিত্রটি রঙিনে মুদ্রিত হউক, নহিলে মজাটি কিচ্ছু মিলিতেছে না। |
|
|
|
|
|