|
|
|
|
শনিবারের নিবন্ধ ২.. |
|
কিপটেমি নয়, ব্যালেন্স করে চলুন
এস কে রায়, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, পিয়ারলেস গ্রুপ |
|
|
বকুনি না খেয়ে পকেটমানি বাড়ানোর জন্য মা-বাবার কাছে কী করে আবদার করা উচিত?
ছেলেমেয়েদের মা-বাবাকে বোঝাতে হবে বই কেনা, মিউজিক শোনা বা এ রকমই কিছু ব্যাপার-স্যাপারের জন্য তাদের টাকার প্রয়োজন। যে ধরনের বিষয়গুলো নলেজ বাড়ায়। নিজেদের কালচারটা জানতে, এমনকী ভালবাসতেও শেখায়। ঠিকঠাক বোঝালে খুব খুশি হয়েই বাবা-মা টাকাটা দিয়ে দেবেন।
ঘ্যানঘ্যান না করে বসকে কী করে আপনার মাইনে বাড়ানোর জন্য রাজি করাবেন?
যুক্তি দিয়ে বসকে বোঝান গত এক বছরে আপনি কী কী করেছেন, যার জন্য আপনার মাইনে বাড়ানোটা উচিত। প্রতিকূল অবস্থাতেও কী কী করেছেন তার একটা লিস্ট করে দিতে পারেন বসকে। ওঁকে কনভিন্স করুন আপনি কোম্পানির ভালর জন্য কত কী করছেন। ঠিকঠাক বললে উনি বুঝতে পারবেন যে মাইনেটা বাড়ালে আপনার কাজের উৎসাহ বাড়বে। তাতে লাভ ওঁর সংস্থার। |
|
বউকে কী করে বোঝানো যাবে খরচ করাটাই যে কোনও উৎসবে সেলিব্রেশনের সেরা পথ নয়?
এটা খুব সূক্ষ্ম ব্যাপার। তাই খুব সেন্সিটিভ হয়ে সামলাতে হবে। বউয়ের উপর খবরদারি না করে বোঝান যে, কোনও উৎসব হল ভাল কোনও কাজের জন্য কিছু করা। সেটা চ্যারিটেবলও হতে পারে। মানে, সোজা কথায়, দান করা। লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা করারও এটাই সব থেকে ভাল সময়। তাই পুজোটুজোর সময় প্যান্ডেলে যান, বন্ধুদের সঙ্গে হইচই করুন। আসল কথাটা হল, কাজের চাপ থেকে একটা ব্রেক। এটা তখনই করবেন যখন আপনার স্ত্রী অহেতুক খরচ করছেন।
অন্যের কাছে কিপটে বদনাম না পেয়েও কী ভাবে প্রত্যেক মাসে টাকা জমাবেন?
নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, তার পর পরিবারের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসা করুন সবার শর্ট টার্ম আর লং টার্ম চাহিদাগুলো কী কী। বিযয়টা নিয়ে ভাবুন, তার পর খরচের হিসাবটা করে, প্রত্যেক মাসে এস আই পি, মিউচুয়াল ফান্ডে অল্প অল্প করে টাকা বিনিয়োগ করুন।
পারলে কোনও ফিনান্সিয়াল-কাউন্সেলরের সঙ্গে কথা বলুন। তিনি আপনার প্রয়োজন মতো সঠিক রাস্তা দেখিয়ে দেবেন। কিপটেমি করার কোনও দরকার নেই, আবার অতিরিক্ত খরচেরও কোনও মানে হয় না। ব্যালেন্স করে চলাটাই সব থেকে ভাল।
তিরিশের আগে বড়লোক
হবেন কী করে?
তার জন্য, ইয়ং-এজ থেকেই সূক্ষ্ম বিচারবুদ্ধি অর্জন করা দরকার। দরকার, ফিনান্স বাজার সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা। প্রত্যেক দিন কম করে এক ঘণ্টা পড়াশোনা করুন ওয়েল্থ-ম্যানেজমেন্টের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে। এন্টারপ্রিনিয়র বা ব্যবসায় উদ্যোগী হওয়ার যাবতীয় গুণ অর্জন করুন। এই গুণগুলোই আপনাকে চটজলদি বড়লোক করতে পারে। তাই এ ধরনের ক্ষমতাটাকে নিয়মিত ঘষামাজা করতে হয়। নতুনত্ব কিছু আনার কথা ভাবুন, যাতে অন্যের চোখ টানে, অনেকের উপকার হয়। তাতেই আপনা-আপনি টাকা আসতে থাকবে।
|
গার্গী রায়চৌধুরীর মেকআপ: নবীন দাস, গার্গী রায়চৌধুরীর হেয়ার স্টাইল: দীপা মল্লিক, গার্গী রায়চৌধুরীর স্টাইলিং: অজপা মুখোপাধ্যায়,
রচনা বন্দোপাধ্যায়ের মেকআপ: অমল মন্ডল, রচনা বন্দোপাধ্যায়ের হেয়ার স্টাইল: শেখর অধিকারী, পরিকল্পনা: গৌতম ভট্টাচার্য,
রূপায়ণ ও বিন্যাস: ইন্দ্রনীল রায়, সংযোগসুত্র ও জোগাড়যন্ত্র: সংযুক্তা বসু, দেবশঙ্কর মুখোপাধ্যায় ও দেবাঞ্জলি রায়,
আলপনা: অনুরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সায়ন্তন সরকার |
|
|
|
|
|