|
|
|
|
শনিবারের নিবন্ধ ১.. |
|
এখনকার আয় বুঝে সঞ্চয় করুন
অতনু সেন, এম ডি-সি ই ও, এস বি আই লাইফ |
|
|
বিশ্ব জুড়ে মন্দার পরে বাজারটা খুব অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বড়বাজার থেকে সেক্টর ফাইভ, সব জায়গায় তার প্রভাব পড়ছে। হঠাৎ যদি অফিসের ইনক্রিমেন্ট বন্ধ হয়ে যায়, সেই বছরেও সঞ্চয় করবেন কী ভাবে?
নিয়মিত সঞ্চয় করাটা সবথেকে জরুরি। প্রত্যেকে আলাদা আলাদা কারণে সঞ্চয় করেন। যাঁরা অবসরের পরের সঞ্চয় নিয়ে ভাববেন, তাঁরা অ্যানুয়িটি (বা পেনশন) প্রকল্পের কথাই চিন্তা করবেন। বা ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের জন্য করে নিন মানি ব্যাক পলিসি। সব সময় মনে রাখবেন, এখনকার আয়ের হিসাবে সঞ্চয় করবেন। ইনক্রিমেন্টের ভরসায় থাকবেন না। তবেই ইনক্রিমেন্ট না হওয়ার ধাক্কাটা আপনার সঞ্চয়ে কোনও প্রভাব ফেলবে না।
নতুন কেউ স্টক মার্কেট থেকে টাকা রোজগার করতে চাইলে কী করবেন?
যাঁরা এ ব্যাপারে নতুন তাঁরা সব সময় আগেই প্রোফেশনালদের কাছে যান। না হলে সেটা পুরোপুরি জুয়া খেলা হয়ে যাবে। আর যাঁরা ঝুঁকি নিতে চান, তারা ইক্যুইটির (শেয়ার বাজারে টাকার অংশ) ভাগটা বেশি রাখুন। যারা ঝুঁকি নিতে চান না, তাঁরা দেখবেন ঋণের পরিমাণটা যেন বেশি থাকে, ইক্যুইটির ভাগটা কম।
পড়াশোনা করতে করতেও কী ভাবে রোজগার করা যায়? হোমমেকাররা বাড়িতে বসে কী ভাবে রোজগার করতে পারেন?
অবশ্যই। তার জন্য অনেক উপায় আছে। অত্যাধুনিক উপায়টি হল ওয়েবসাইট বানিয়ে রোজগার। ওয়েবসাইটে আপনার সংগ্রহে থাকা জিনিসপত্রের বিবরণ দিয়ে লোকজনকে বেচতে পারেন। এ ছাড়া অনলাইনে লেখালেখি করা, অনুবাদ করা এ রকম কাজও পাওয়া যায়। তাতেও আয় ভালই হয়। এ ছাড়া বাড়িতে টুকটাক জিনিসপত্র (সফট টয় ইত্যাদি) তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। নতুন প্রজন্মের জন্য রয়েছে ই-টিউটরিং। ই-টিউটরিং ব্যাপারটি হল ওয়েবক্যামের সাহায্যে টিউশন করা। অনলাইন প্রচুর ওয়েবসাইট আছে যারা এই ধরনের টিউশনে সাহায্য করেন।
বিনিয়োগ ছাড়া কি অনলাইন টাকা রোজগার করা সম্ভব?
হ্যাঁ। অনলাইন উপদেষ্টা এখন খুব চালু ব্যাপার। অন লাইনে অন্যকে উপদেশ দিয়েও রোজগার করা। এক ধরনের পরীক্ষা (প্রি-লাইসেন্সিং টেস্ট) দিয়ে আপনি অনলাইন উপদেষ্টা হতে পারেন। হেলথকেয়ার থেকে বিমা, আইন-কানুন থেকে সফটওয়্যার সমস্যা, যে-কোনও কিছুর জন্যই অনলাইন উপদেষ্টা হতে পারেন। আয়ও কম হবে না। অনেকে চাকরি ছেড়ে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট করছেন।
ইদানীং নিজের দরকারে অপরিচিত ব্যক্তিদের থেকে টাকা চাওয়ার একটা প্রথা চালু হয়েছে। যে জন্য কখনও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ওয়েবসাইটের, কখনও সোশ্যাল নেট ওয়ার্কিং-এর। যাকে বলা হচ্ছে সাইবার-বেগিং বা ক্রাউড-ফান্ডিং। ভারতে হুহু করে বাড়ছে এই প্রথা। এ ব্যাপারে কী করা উচিত, কী করা উচিত নয়?
এখানে স্বচ্ছতাটাই মূল কথা। আপনি যখন, যে দরকারেই কোনও প্রজেক্টের দরকারে টাকা চাইবেন, তখন স্বচ্ছতাটা খুবই জরুরি।
সাইবার-বেগিং ব্যাপারটি প্রথম শুরু করেন ক্যারিন বসন্যাক নামে এক মহিলা। ২৩ জুন ২০০২-এ তাঁর ক্রেডিট কার্ডে ধারের পরিমাণ ছিল কুড়ি হাজার ডলার। তিনি ভেবেছিলেন কুড়ি হাজার লোকের থেকে যদি এক ডলার করে নেওয়া যায় বা দশ হাজার লোকের থেকে দু ডলার করে, কিংবা চার হাজার লোকের থেকে পাঁচ ডলার করে, তা হলেই হবে। সেই কারণে ‘সেভ ক্যারিন’ নামের এক ওয়েবসাইটও চালু করেন তিনি।
তাতে তেরো হাজার ডলার উঠেও যায়। তার সঙ্গে কিছু ডলার যোগ করে তিনি ক্রেডিট কার্ডের লোনও শোধ করেন।
আজ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং খুব জনপ্রিয়। এই তো ‘আই অ্যাম’ সিনেমাটা তৈরি হয়েছে ক্রাউড-ফান্ডিং থেকেই। এর বহু আগে এই একই প্রথাতে শ্যাম বেনেগাল বানিয়েছিলেন ‘মন্থন’। নতুন পরিচালকদের জন্য এটা বেশ কার্যকরী। শুধুমাত্র ছবির পরিচালককে সোশ্যাল নেট ওয়ার্কিং সাইটে বোঝাতে হবে সিনেমা করা নিয়ে তাঁর সৎ চেষ্টার কথা।
|
ফোটোগ্রাফার: সোমনাথ রায়, শ্রাবন্তীর মেকআপ ও হেয়ার স্টাইল: নবীন দাস,
শ্রাবন্তীর পোশাক: সায়ন্তন সরকার,
শ্রাবন্তীর স্টাইলিং: অজপা মুখোপাধ্যায়,
পরিকল্পনা: গৌতম ভট্টাচার্য, রূপায়ণ ও বিন্যাস: ইন্দ্রনীল রায়,
সংযোগসুত্র ও জোগাড়যন্ত্র: সংযুক্তা বসু,দেবশঙ্কর মুখোপাধ্যায় ও দেবাঞ্জলি রায়,
আলপনা: অনুরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সায়ন্তন সরকার |
|
|
|
|
|