সঙ্গীত সমালোচনা...

পারের কাণ্ডারী
সম্প্রতি সল্টলেক পূর্বশ্রী প্রেক্ষাগৃহে একটি ফকিরি গান ও তত্ত্বের কর্মশালা পরিচালনা করলেন মনসুর ফকির ও সহজিয়া লোকগানের দল। বিভিন্ন বয়স ও পেশার ৫০ জন ছাত্রছাত্রী এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। মূল অনুষ্ঠানের সূচনা হল লালনের গান ‘পারে কে যাবি’ দিয়ে। এর পর যৌথ ভাবে পরিবেশিত হয় আরও তিনটি মর্মস্পর্শী গান ‘সহজ মানুষ’, ‘ঘরে জ্বালগা প্রেমের বাতি’ ও ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’। শেষ গানটিতে প্রাণের উন্মাদনায় ও সহজ সুরের দোলায় যৌথ নৃত্যের স্বতঃস্ফুর্ত প্রকাশ ঘটেছিল। এর পর মনসুর ফকির দোতারায় অনবদ্য লহর দিয়ে তাঁর অনুষ্ঠান শুরু করেন। ‘ও রে মগ ফিরিঙ্গি’, ‘মানুষ পুজো কোরান খোঁজো’ একের পর এক অসাধারণ গান পরিবেশন করলেন। এর পর আসে সহজিয়া লোকগানের দল।
‘রাই জাগো গো’, ‘হৃদয় কপাট দেখ না খুলে’, ‘সিন্ধু পারের বন্ধু যে জন’ প্রভৃতি গানগুলির সুরেলা পরিবেশনায় আপ্লুত হয় প্রতিটি শ্রোতার হৃদয়। বাঁশিতে বাপ্পা, পারকাশনে শরদিন্দু, হারমোনিয়ামে সন্দীপ, কি-বোর্ডে সুসেন, বেস গিটারে রাজদীপ, ড্রামে কুশল এবং প্রধান কণ্ঠ-দোতারা-খমকে দেব চৌধুরী সে দিন সন্ধ্যার আসর মাতিয়ে দেন। বর্ধমান সমুদ্রগড়ের ক্ষুদিরাম দাসের কথা আলাদা করে বলতেই হয়, যার অনবদ্য ঢোল-বাজনা ও নৃত্য শ্রোতাদের মনোমুগ্ধ করে রেখেছিল। শেষে মনসুর ফকিরের সঙ্গে সহজিয়া পরিবেশন করল ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘তোমার ঘরে বসত করে’ গান দু’টি।

দেবব্রত-র সেই সব গান
সম্প্রতি কল্যাণ গুহ অরবিন্দ ভবনে দেবব্রত বিশ্বাসের অনেক না-জানা তথ্য নিয়ে সুন্দর একটি অনুষ্ঠান করলেন। শুরুতেই তাঁর সঙ্গীত জীবনের অজানা তথ্যগুলি পাঠ করলেন কল্যাণ গুহ এবং কাকলি বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে বিভিন্ন শিল্পীর কণ্ঠে শোনা গেল দেবব্রতর পছন্দের বেশ কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীত। স্বপন গুপ্তের ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’, সুছন্দা ঘোষের কণ্ঠে ‘প্রভু আমার প্রিয় আমার’, সুপ্রিয়া চক্রবর্তীর ‘আমার যে দিন ভেসে গেছে’ গানগুলি শিল্পীরা গাইলেন অত্যন্ত দরদ দিয়ে। বন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘আনন্দধারা’র সঙ্গীতগুলি বেশ উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়াও ছিল দেবাশিস রায়ের পরিচালনায় সায়ন্তন শিল্পীগোষ্ঠীর নির্বাচিত কিছু গান।

আমার মুক্তি
সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে ‘স্বাধীনতা ৬৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছিল কসবা সঞ্চারী। অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুপ্রকাশ মুখোপাধ্যায়ের যৌথ সংযোজনায় অনুষ্ঠানটি এক অন্য মাত্রা নিয়েছিল। বংশীবদন চট্টোপাধ্যায় শুরুতেই এই অনুষ্ঠানের গুরুত্ব ব্যক্ত করেন তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে। পরে গান গাইলেন বিভিন্ন শিল্পী। সুচরিতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাইলেন ‘আকাশ ভরা সূর্যতারা’ এবং ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়।’ সুচরিতার এখন বেশ পরিণত গলা। তাঁর কণ্ঠে গানগুলি শুনতে মন্দ লাগে না। বেলা সাধুখাঁ গাইলেন, ‘দে দোলা’ ও ‘ঠিকানা।’
পরে স্বরচিত রম্যরচনা ‘স্বাধীনতার আধুনিকতা’ পাঠ করলেন মিতালি দত্ত। এ ছাড়াও কয়েক জন শিল্পীর গান ও পাঠ শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে।

শুনতে হলে

তারা ঢাকা মেঘ: আধুনিক কবিতার গান। লোপামুদ্রা
মিত্রের কণ্ঠে। ৮ টি গান। সিডি। সারেগামা।

বাউল মন: আধুনিক গানে ইন্দ্রনীল সেন। ৭ টি
গানের সিডি। প্রাইম মিউজিক থেকে প্রকাশিত।

একতারা:
রবীন্দ্রসঙ্গীত ও লালনগীতি। শ্রীকান্ত আচার্য,
রেজওয়ানা ও মনোজ মুরলী প্রমুখ। রিম্যাক।

আবহমান:
ষাট জন শিল্পীর কণ্ঠে ষাটটি রবীন্দ্রসঙ্গীতের
সংকলন। সিডি। ইউ ডি এবং পেরেনিয়াল রেকর্ডস।

স্মরজিৎ সেন:
পাশ্চাত্য শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সুরে সেতার।
সিডি। বিহান মিউজিক থেকে প্রকাশিত।

আরাত্রিকা:
রবীন্দ্রসঙ্গীত। কণ্ঠে-সুকন্যা নাথ।
পাঠে-বাণী বসু। ১০ টি গান। সিডি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.