|
|
|
|
স্কুলে পোশাক সরবরাহের দায়িত্বে এ বার স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল পড়ুয়াদের বিনামূল্যে পোশাক বিলির কাজে এ বার স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলিকে যুক্ত করার নির্দেশিকা পাঠাল রাজ্য সর্বশিক্ষা মিশন।
রাজ্য সর্বশিক্ষা মিশনের প্রকল্প অধিকর্তা ছোটেন ধেনদুপ লামা বলেন, “স্কুল পড়ুয়াদের পোশাক সরবরাহের কাজে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলিকে যুক্ত করার জন্য রাজ্য সরকারের স্বনিযুক্তি দফতর অনুরোধ করেছিল। সেই মতো স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ওই দ্বায়িত্ব দেওয়ার জন্য জেলায় নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।” পড়ুয়াদের পোশাক সরবরাহের ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ আগে সমবায় সমিতি ও ক্ষুদ্র শিল্পদ্যোগীদের বিনা টেন্ডারে দ্বায়িত্ব দিতে পারতেন। এ বার থেকে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলিকে একই ভাবে বিনা টেন্ডারে পোশাক সরবরাহের দ্বায়িত্ব দিতে পারবেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ছোটেন ধেনদুপ লামা জানান, স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা পোশাক তৈরি করে দিতে পারেন অথবা সরাসরি পোশাক কিনেও সরবরাহের দ্বায়িত্ব নিতে পারেন।
রাজ্য সর্বশিক্ষা মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত ছাত্রীদের ও তফসিলি জাতি-উপজাতি, দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা পরিবারের ছাত্রদের দুই সেট পোশাক কিনে দেওয়ার জন্য প্রতি পড়ুয়া পিছু ৪০০ টাকা করে বরাদ্দ করেছে সর্বশিক্ষা মিশন। এই খাতে চলতি আর্থিক বছরে প্রায় সাড়ে ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
সর্বশিক্ষা মিশন দফতরের এক আধিকারিক জানান, স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলির উপার্জন বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্কুল পড়ুয়াদের পোশাক তৈরি ও সরবরাহের দায়িত্ব দিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম উদ্যোগী হন। অগস্ট মাসে রাজ্যের স্বসহায়ক ও স্বনিযুক্তি দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো এই নিয়ে সর্বশিক্ষা মিশনকে চিঠি দেন। চলতি মাসে পোশাক সরবরাহের দায়িত্ব স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দেওয়ার জন্য জেলায়-জেলায় নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেয় রাজ্য সর্বশিক্ষা মিশন। জেলা সর্বশিক্ষা মিশন স্কুলে-স্কুলে সেই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছে ইতিমধ্যে। |
|
|
|
|
|